সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে স্থুলকায়ত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন কি বাত অনুষ্ঠানে সচেতনতার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শুধু বার্তা দিলে হবে না। স্থুলকায়ত্ব রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। পুরোপুরি ফ্যাট এবং সুগার সমৃদ্ধ খাবারের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে। সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন শিব সেনার রাজ্যসভার সাংসদ মিলিন্দ দেওরা। তাঁর দাবি, স্থুলকায়ত্ব আগামী দিনে আর্থিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

রাজ্যসভায় মিলিন্দ বললেন, "স্থুলকায়ত্ব বিরাট বড় আর্থিক বিপর্যয়। আমেরিকায় স্থুলকায়ত্ব বিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৪২ শতাংশ মানুষ এবং শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশ স্থুলকায়ত্বের শিকার। দু'দশক আগের তুলনায় আমেরিকার স্থুলকায়ত্ব বেড়েছে ৩০ শতাংশ। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে এর জন্য। আমেরিকার প্রতি ৩টি মৃত্যুর মধ্যে একটি কোনও না কোনওভাবে স্থুলকায়ত্বের সঙ্গে যুক্ত।" মিলিন্দের মতে, "ভারতকেও এখন থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। নাহলে আগামী দিনে আমেরিকার মতো আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারে ভারতও।"
শিব সেনার সাংসদ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলছেন, "ভারতে গত পাঁচ বছরে পুরুষদের মধ্যে স্থুলকায়ত্ব ১৯ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে। মহিলাদের মধ্যে স্থুলকায়ত্ব ২১ থেকে বেড়ে ২৪ শতাংশ হবে। ১০ বছরে স্থুলকায় শিশুর সংখ্যাটা ৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।" মিলিন্দের আশঙ্কা, "২০৩০ সাল নাগাদ এই স্থুলকায়ত্বের জন্য আমাদের জিডিপির ১.৬ শতাংশ অর্থাৎ ৭ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। এখনই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলে ভারতের আর্থিক উন্নতিতে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।"
মিলিন্দ দেওরার দাবি, সিঙ্গাপুরে যেভাবে শিশুদের টার্গেট করে তৈরি করা সমস্ত ফ্যাট ও শর্করা যুক্ত খাবারের বিজ্ঞাপন বন্ধ, সেভাবেই ভারতেও পুরোপুরি ফ্যাট ও শর্করা যুক্ত খাবারের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হোক। শুধু তাই নয়, খাবারের প্যাকেটে সেটার পুষ্টিগুণের পরিমাপের লেভেল লাগানো হোক। উদাহরণ হিসাবে তাঁর বক্তব্য, কোনও খাবার যদি শর্করা বা চর্বিমুক্ত এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয় তাহলে সেই খাবারের প্যাকেটের গায়ে A লেভেল লাগানো হোক। তার চেয়ে কম পুষ্টিগুণ এবং বেশি ফ্যাট ও সুগারযুক্ত খাবারে বি লেভেল লাগানো হোক। সেই মতো A থেকে D পর্যন্ত লেভেল সাটা হোক।