সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল বিশ্রীভাবে হেরেছে। দলের সবচেয়ে বড় নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল হেরেছেন। মণীশ সিসোদিয়া, সৌরভ ভারদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনদের মতো হেভিওয়েটরা হেরেছেন। কিন্তু তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশীর। তিনি নিজে জিতেছেন, সেই আনন্দে নাচছেন। সেই ভিডিও-ও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, নিজের কেন্দ্র কালকাজিতে জয়ের আনন্দে কর্মীদের সঙ্গে সেলিব্রেশনে ব্যস্ত অতিশী। কর্মীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে আনন্দে নাচছেন দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। অতিশীর এই 'নাচ' নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। আপেরই রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল বলছেন, "দল হেরেছে, সব বড় নেতা হেরেছেন। তারপরও অতিশী মারলেনা এভাবে নির্লজ্জের মতো নাচছেন কীভাবে?"
১০ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতাচ্যুত আপ। ৬২ থেকে তাঁদের আসনসংখ্যা নেমে এসেছে সোজা ২২-এ। এই হারের দায় যদি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হয়, তাহলে সেই দায় এড়াতে পারেন না অতিশী মারলেনাও। কারণ শেষ কয়েক মাস দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে তিনিই ছিলেন। খাতায় কলমে এখনও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তিনিই। কারণ আপের হারের পর এখনও পদত্যাগ করেননি অতিশী। অথচ সেই হারের দায় নিয়ে কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা বিশেষ শোনা গেল না অতিশীর মুখে। উলটে নিজের জয়েই যেন তিনি মহা আনন্দে।
আসলে কালকাজিতে এবার কঠিন লড়াই ছিল অতিশীর। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করে হেভিওয়েট রমেশ বিধুরীকে। কংগ্রেসও প্রার্থী করে হেভিওয়েট প্রার্থী অলকা লাম্বাকে। দুই হেভিওয়েটকে হারিয়ে সাড়ে তিন হাজার ভোটে জিতেছেন তিনি। বহু কষ্টে জয় এসেছে, সেজন্যই সম্ভবত কর্মীদের এভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাইছিলেন আপের শীর্ষ নেত্রী। কিন্তু যেভাবে তিনি নাচছেন তাতে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, দলের হার নিয়ে কি কোনও মাথাব্যাথাই নেয় দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি দল হারলেও বিশেষ অখুশি নন তিনি? কারণ এই হার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাবমূর্তিকে ভালোমতো ধাক্কা দেবে। সেক্ষেত্রে দুর্দশার মধ্যে জিতে আসা অতিশীর গুরুত্ব আপে আরও বাড়তে পারে।
