shono
Advertisement
Delhi Assembly Elections

২৭ বছর পর দিল্লি জয় বিজেপির, এবার কুরসিতে কে? জল্পনায় একাধিক নাম

সাম্প্রতিক অতীতে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চমক দিয়েছে বিজেপি।
Published By: Subhajit MandalPosted: 11:38 AM Feb 09, 2025Updated: 11:40 AM Feb 09, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৭ বছর পর দিল্লি জয়। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল রাজধানীর কুরসিতে কে বসবেন? দেশের রাজধানী বলে কথা। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পদে এমন কাউকে বসাতে হবে যিনি প্রশাসনের কাজকর্মে দক্ষতা দেখাতে পারবেন। আবার একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এমন কেউ না হন যিনি মোদি-শাহদের ছায়া পেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

Advertisement

বিজেপি সাম্প্রতিক কয়েকটি নির্বাচনের মতো দিল্লিতেও কাউকে মুখ হিসাবে ঘোষণা করেনি। 'কেজরিওয়ালের গ্যারান্টি'র পালটা হিসাবে 'নরেন্দ্র মোদির গ্যারান্টি'কে সামনে রেখে নির্বাচনে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। যার সুফল মিলেছে। কারও নাম আগে থেকে ঘোষণা না করার সুবিধা হল, এবার মোদি-শাহরা নিজেদের পছন্দমতো কাউকে রাজধানীর কুরসিতে বসাতে পারেন। সেই লড়াইয়ে কারা আছেন?

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবার প্রথমে রয়েছেন প্রবেশ বর্মা। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে কারও নাম বিজেপির তরফে আগে থেকে ঘোষণা করা না হলেও প্রবেশের অনুগামীরা তাঁকেই হবু মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রচার করেছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে প্রবেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। প্রবেশ ভোটে জিতেছেন কেজরিকে হারিয়ে। জাঠদের মধ্যে তাঁর প্রভাব বিরাট। এমনিতে দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির মুখ তিনি। সাফল্যও কম নয়। যদিও তাঁর বিপক্ষে একটা ফ্যাক্টর রয়েছে। সেটা হল তাঁর পরিবারতান্ত্রিক পরিচয়। প্রবেশের বাবা সাহিব সিং বর্মাও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

এই বিরাট সাফল্যের নেপথ্যের অন্যতম কারিগর তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবও রয়েছেন লড়াইয়ে। তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। পাশাপাশি তিনিও দীর্ঘসময় সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর এই তালিকায় দিল্লি বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী নেতা বিজেন্দ্র গুপ্তও। রোহিণী কেন্দ্র থেকে জিতে এসেছেন তিনি। দিল্লি বিধানসভায় সীমিত শক্তি নিয়েই আবগারি দুর্নীতির মতো ইস্যুতে আপকে নাস্তানাবুদ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়ও। দীর্ঘদিনের আরএসএস কর্মী। বিজেপির বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন। তাঁর প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। একটা সময় নয়াদিল্লি পুরনিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন সতীশ। তবে দিল্লি জয়ের পর বিজেপি এবার পাঞ্জাব ও বিহারে নজর দিতে চাইছে। সেক্ষেত্রে কোনও পূর্বাঞ্চলী বা শিখ নেতার কথা ভাবা হতে পারে। তেমনটা হলে লড়াইয়ে থাকবেন মজিন্দ্র সিংহ সিরসা বা মনোজ তিওয়ারির মতো নেতারা। লড়াইয়ে থাকতে পারেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অরবিন্দর সিং লাভলিও।

বিজেপি কোনও মহিলাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ভাবতে পারে। সেক্ষেত্রে লড়াইয়ে থাকবেন দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির মহিলা মুখ রেখা গুপ্ত। আবার বাইরে থেকে স্মৃতি ইরানি বা বাঁশুরি স্বরাজের মতো কারও কথাও ভাবা হতে পারে। সাম্প্রতিক অতীতে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চমক দিয়েছে বিজেপি। এমন কাউকে মসনদে বসানো হয়েছে যার নাম হয়তো জল্পনায় ছিল না। এবারও তেমন কিছু হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে প্রবেশ বর্মা, সতীশ উপাধ্যায় এবং বীরেন্দ্র সচদেবের মধ্যেই আসল লড়াই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সেখানেকার মুখ্যমন্ত্রী পদে এমন কাউকে বসাতে হবে যিনি প্রশাসনের কাজকর্মে দক্ষতা দেখাতে পারবেন।
  • আবার একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এমন কেউ না হন যিনি মোদি-শাহদের ছায়া পেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
  • দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবার প্রথমে রয়েছেন প্রবেশ বর্মা।
Advertisement