সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেটিং অ্যাপে নিজেকে মার্কিন মডেল পরিচয় দিয়ে একে একে ৭০০ মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক! মূলত ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি মহিলাদের টার্গেট করে বিরাট প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন যুবক। ডেটিং অ্যাপে ভাব জমিয়ে মহিলাদের ঘনিষ্ঠ ছবি হাতিয়ে চলত ব্ল্যাকমেল। বেশ কয়েক বছর ধরে এভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন দিল্লির যুবক।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বছর ২৩-এর অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম তুষার বিস্ত। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে নয়ডার এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কাজ করেন তিনি। তবে চাকরির বাইরে আরও বেশি টাকা আয় করতে সাইবার অপরাধের দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল নম্বর জোগাড় করে ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে কখনও ‘বাম্বল’, কখনও ‘স্ন্যাপচ্যাট’, কখনও আবার হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে ভাব জমাতেন। এবং তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে চলত ছবি আদান প্রদান। এভাবে কোনও মহিলার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো হাতিয়ে নিতে পারলে তা নিয়ে চলত ব্ল্যাকমেল ও টাকা আদায়।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এভাবেই গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণীর সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ জমান ওই যুবক। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত কথোপকথনের পর তরুণীর কাছ থেকে গোপন ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেন। তুষারকে দেখা করার জন্য চাপ দেন তরুণী। তবে দেখা করা তো দূর, সেই ছবি ও ভিডিওকে হাতিয়ার করে চেনা ছকে তাঁকে ব্ল্যাকমেল শুরু করে তুষার। এভাবে বেশ কয়েকবার ওই যাত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের পর তরুণী পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানায়। এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার পূর্ব দিল্লির শাকারপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, 'বাম্বল' নামের ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ৫০০ মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিলেন ওই যুবক। পাশাপাশি স্ন্যাপচ্যাট ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ২০০ মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। তুষারের কাছ থেকে ১৩টি ক্রেডিট কার্ড, ফোনে কয়েকশো মহিলার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া পুলিশ জানতে পারেছে, দুটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন তুষার। যার একটি ব্যবহৃত হত মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ের জন্য। এবং অন্যটি তাঁর বেতন ও অন্যান্য ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে।