shono
Advertisement

‘মুরগি বা পাঁঠা নয়, বেশি করে গোমাংস খান,’ BJP মন্ত্রীর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দমতো খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে, মন্তব্য সুল্লাইয়ের।
Posted: 05:53 PM Jul 31, 2021Updated: 05:53 PM Jul 31, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুরগির মাংস, মটন কিংবা মাছের বদলে গরুর মাংস বেশি করে খান। নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের এই কথাই বললেন মেঘালয়ের (Meghalaya) বিজেপি (BJP) মন্ত্রী সানবোর সুল্লাই। তাঁর দল যে গরুর মাংস খাওয়ার বিরোধী নয়, সেকথাই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন তিনি।

Advertisement

গো-মাংস ভক্ষণের বিরোধী বিজেপি। দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে এই সংক্রান্ত আইনও আনা হয়েছে। কোথাও আবার গো-মন্ত্রকও গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপিশাসিত অসম (Assam) বিধানসভায় ‘গবাদি পশু সংরক্ষণ’ বিল পেশ করেছেন মুখ্যমন্তী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যেখানে বলা হয়েছে, মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস বিক্রি নয়। একইসঙ্গে হিন্দু, শিখ ও জৈন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলিতে গোমাংস ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। কিন্তু সেই বিজেপি দলের মন্ত্রীর গলাতেই যেন উলটো সুর। সিনিয়র বিজেপি নেতা সুল্লাই গত সপ্তাহেই মেঘালয়ের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এরপরই তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দমতো খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে।

[আরও পড়ুন: পছন্দ নয় কাজের পদ্ধতি, Prashant Kishor-কে দলে নেওয়া নিয়ে সংশয় কংগ্রেসের অন্দরে]

শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুল্লাই বলেন, “মুরগির মাংস, মটন কিংবা মাছের পরিবর্তে আমি রাজ্যের বাসিন্দাদের গরু খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। আর এতে বিজেপি যে গোমাংস খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে, মানুষের সেই ধারনাও ভুল প্রমাণিত হবে।” সম্প্রতি অসমে গো রক্ষায় যে নয়া বিল পাশ হয়েছে। এর ফলে অসম থেকে গরুর আমদানিরর ব্যাপারে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মেঘালয়ের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সুল্লাই জানালেন, এ ব্যাপারে তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। যদিও বর্তমানে সীমান্ত নিয়ে দু’রাজ্যের মধ্যে চলতে থাকা বিবাদের মাঝে এই নিয়েও অনেকেই সন্দিহান।

এদিকে, আবার গত সোমবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে অসম ও মিজোরামের পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে দুই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে। অত্যাধুনিক রাইফেল ও মেশিনগান দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় দুই বাহিনী। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় অসম পুলিশের ছয় কর্মীর। তারপর সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। এহেন সময়ে সমস্যা আরও বাড়িয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ‘অ্যাটেম্প্ট টু মার্ডার’ বা খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে মিজোরামের পুলিশ।

[আরও পড়ুন: আগ্রহ হারাচ্ছেন পড়ুয়ারা! এক বছরে বন্ধ ৬৩ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement