সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বড়সড় পদক্ষেপের পথে নির্বাচন কমিশন! এবার সম্ভবত নথি না থাকলেও ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে না বৈধ ভোটারদের। কমিশন এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছে, স্থানীয় স্তরে তদন্তের ভিত্তিতেও ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা হতে পারে।
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। বিহারের পরে এক এক করে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে। তালিকাভুক্ত ভোটার বা নতুন আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনের সময় বুথ স্তরের অফিসাররা একটি ফর্ম দেবেন। সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকত্বের সেলফ অ্যাটেস্টেট ঘোষণাপত্রও জমা দিতে হবে।
সমস্যা হল কমিশন যে নথিগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে চাইছে সেই নথিগুলি জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে মোট ১১টি নথির তালিকা দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ১১টি নথির তালিকায় রয়েছে- সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র, ১ জুলাই ১৯৮৭-র আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি, জন্ম সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট, বনপালের সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, এনআরসি অন্তর্ভুক্তি, পারিবারিক রেজিস্টার এবং জমির দলিল। সমস্যা হল অনেক ভোটারের কাছে এই ১১ নথির কোনওটিই নেই। সেইসব ভোটারদের আবার অধিকাংশই প্রান্তিক, দরিদ্র। তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এই অবস্থায় বহু ভোটার আশঙ্কায়। তবে তাঁদের এবার খানিকটা আশ্বস্ত করল কমিশন।
বিহারদের ভোটারদের উদ্দেশে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটার যদি নথি নাও দেখাতে পারেন, তাও তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে সোজাসুজি বাদ দেওয়া হবে না। ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রার অফিসার স্থানীয় স্তরে তদন্ত করবেন। তাঁর যদি মনে হয় ওই ভোটার বৈধ, তাহলে সেই ভোটারের নাম বাদ যাবে না। কিন্তু বিরোধীরা এতে আরও আশঙ্কিত। এক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের আশঙ্কা করছে তারা।
