সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার 'দিল্লি চলো অভিযান' করবেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের একাংশ। শুক্রবার শম্ভু সীমানায় আটকে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু শনিবারই কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের ঘোষণা করেন, ফের রবিবার তাঁরা মিছিল করবেন। এদিকে শম্ভু সীমানায় নিরাপত্তা আরও কড়া করেছে পুলিশ। ফলে অভিযান ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
গত শুক্রবার কৃষকরা এগোতে চেষ্টা করতেই শম্ভু সীমানায় আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয় ওই অঞ্চলকে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। চলে লাঠি। ৬ জন কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে সেদিনের মতো অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন বিদ্রোহীরা। কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের দাবি করেন, কথাবার্তা চালানোর কোনও ইশারা এখনও কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ''কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলবে না। ওরা চেষ্টা করছে আমাদের জোর করে থামিয়ে দিতে। কিন্তু আমরা দিল্লিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেই পৌঁছতে চাই, কালকের মতোই। মোদি সরকার কথা বলতেই চাইছে না। আমরা রবিবার দুপুর বারোটায় ১০১ জনের প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাই কথা বলার জন্য।''
কৃষকদের তরফে যে ৫ দফা দাবি তোলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পুরনো ভূমি অধিগ্রহণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ১০ শতাংশ প্লট এবং ৬৪.৭ শতাংশ বর্ধিত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের পর অধিগ্রহণ করা জমির জন্য বাজারমূল্যের চার গুণ ক্ষতিপূরণ এবং ২০ শতাংশ প্লট দিতে হবে। এর পাশাপাশি সকল ভূমিহীন ও ভূমিহীন কৃষকের সন্তানদেরও কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের সুবিধা দিতে হবে। এই বিষয়ে অবিলম্বে সরকারি নির্দেশিকা জারি করার দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। কৃষকদের তরফে বার বার দাবি তোলা হয়েছে, শুধু মৌখিক আশ্বাস নয় সংসদে এই বিষয়ে আইন আনা হোক। সরকার আশ্বাস দিলেও শুধু আশ্বাসে চিড়ে ভিজছে না। এই পরিস্থিতিতে রবিবার ফের দিল্লিমুখী অভিযানে কৃষকরা।
