সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই খবর ছড়িয়ে গিয়েছিল, করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন। যদিও পরে জানা যায়, পুরোটাই গুজব। অবশেষে মঙ্গলবার দিল্লির এইমস (AIIMS) থেকে ছাড়া পেলেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন (Chhota Rajan)। ফের তিহার জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। এপ্রিলের ২৪ তারিখ থেকে ওই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি।
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের গোড়াতেই জেলবন্দি রাজন করোনা আক্রান্ত হন। সেই সময় জানা গিয়েছিল, গোটা জেলের ২২৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন করোনায়। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন জেলকর্মী। বন্দিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজন। এমনও শোনা গিয়েছিল, মারণ ভাইরাসের ছোবলের কারণে তাঁর একাধিক অঙ্গ কাজ করছে না। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনাকে মিথ্যেয় পরিণত করে সংক্রমণমুক্ত ৬১ বছরের রাজন।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজেই জোর দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের, বিশ বাঁও জলে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ!]
প্রসঙ্গত, রাজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর উড়িয়ে কয়েকদিন আগেই খবর ছড়িয়ে গিয়েছিল, করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন। যদিও পরে জানা যায়, পুরোটাই গুজব। অবশেষে মঙ্গলবার দিল্লির এইমস থেকে ছাড়া পেলেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন। ফের তিহার জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। এপ্রিলের ২৪ তারিখ থেকে ওই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি।
২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজনকে।’ডি-কোম্পানি’র হিট লিস্টে ছিলেন রাজন।একাধিকবার তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ তথা অন্যতম সেনাপতি ছোটা শকিল। করাচি থেকে রাজনের নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল দাউদ। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে রাজন-সহ নয় দোষীর যাবজ্জীবন জেলের সাজা শোনায় আদালত। তারপর থেকেই দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
দাউদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-র, এমনটাই সন্দেহ করেছিলেন ছোটা রাজন। এমনকী তিনি মনে করতেন, তাঁকে খুন করতে ডি-কোম্পানির চক্রান্তে মদত দিচ্ছেন ওই সাংবাদিক। আর সেখান থেকেই তাঁকে হত্যার চক্রান্ত করেন রাজন।