বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: এক দেশ, এক ভোট নিয়ে সংসদীয় যৌথ কমিটি খুব শীঘ্রই ওয়েবসাইট চালু করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যেই এই ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার কমিটির বৈঠকে সদস্য রাজ্যসভার সাংসদ তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সংবিধানেই এক সঙ্গে নির্বাচন করানোর কথা বলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। আবার কোনও সরকার অনাস্থা প্রস্তাবে সংখ্যালঘু হয়ে গেলেও তাদের দিয়েই সরকার চালানো উচিত বলেও তিনি যুক্তি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গগৈয়ের মতামতের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার, লোকসভার জিরো আওয়ারে রাজ্যের ঝাড়গ্রামের সাংসদ কালীপদ সোরেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে স্বতন্ত্র সাঁওতালি চ্যানেল খোলার দাবি জানান। পাশাপাশি অল ইন্ডিয়া রেডিও কলকাতাতে সাঁওতালি ভাষা জানা স্থায়ী কর্মী নিয়োগেরও দাবি করেছেন তিনি। লোকসভায় এদিনই ইমিগ্রেশন এন্ড ফরেনার্স বিল, ২০২৫ পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। বিল পেশের বিরোধিতা করে সরব হন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। বিল পেশের সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ কেন উপস্থিত হননি, তা নিয়েও কটাক্ষও করেন সৌগত।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার লোকসভায় মণিপুরের বাজেটের উপর আলোচনার অংশ গ্রহণ করে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন যাননি, প্রশ্ন তুলে সমালোচনায় মুখর হন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ। তাতে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে বলে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পালটা গৌরবও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের অপমান করার সময়ে বিজেপির মনে থাকে না বলে সরব হন। অধ্যক্ষ ওম বিড়লার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরেও গৌরব প্রধানমন্ত্রী বাঘ দেখে বেড়াচ্ছেন বলে কটাক্ষ ছুড়ে দেন। একই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের কীর্তি আজাদ বিজেপিকে তুলোধোনা করেন। দলের লোকসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ সায়নী ঘোষও মণিপুর নিয়ে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন।
