সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধকার নামলেই সীমান্তে উসকানি দিতে শুরু করছে পাকিস্তান। আকাশপথে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে আসছে। আন্তর্জাতিক সীমারেখা, নিয়ন্ত্রণরেখায় চলছে গোলাবর্ষণ। পাকিস্তানের (Pakistan) এই কাপুরুষোচিত হামলায় প্রাণ গেল কাশ্মীর প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের। শুধু তাই নয়, লাগাতার গোলাবর্ষণ ও মর্টার-শেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি, জলের ট্যাঙ্কও। অন্যদিকে সীমান্ত লাগোয়া একের পর এক গ্রাম থেকে ড্রোন, মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হচ্ছে।
কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্য়ান্ডেল বার্তায় জানিয়েছেন, "রাজৌরি থেকে পাওয়া খবরে মন ভারাক্রান্ত। জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রশাসনের দক্ষ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকালই জেলায় উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী হয়েছিলেন। আমার ভারচুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আজ পাকিস্তার রাজৌরি শহরকে টার্গেট করেছিল। তাদের গোলায় অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন আধিকারিকের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আধিকারিক রাজকুমার থাপ্পার মৃত্যু হয়। শোকপ্রকাশের ভাষা নেই।"
এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই এবং পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, পাক গোলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িঘর, জীবন-জীবিকা। আতঙ্কের পরিবেশ গোটা এলাকায়। এদিন সকালেও গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকাই বলা চলে। চারিদিকে ভারী বুটের শব্দ এবং সাঁজোয়া গাড়ির আসা যাওয়ার আওয়াজ। সবমিলিয়ে ভারত-পাক যুদ্ধের (India Pakistan Conflict)আশঙ্কায় কাঁটা সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
রাতভর গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মুর গ্রামগুলিতে লাগাতার ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য় ব্যর্থ হয়েছে সেই অপচেষ্টা। সকাল হতেই সেই সমস্ত পাক ড্রোন, মিসাইলের ধ্বংসাবশে মিলছে গ্রামের মাঠে, রাস্তায়। সেগুলি ঘিরে স্থানীয়দের কৌতূহল বেড়েছে।
