সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত দেশের ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ। পাক সীমান্তবর্তী উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দর গুলিতে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ মে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফের এখানে চালু হবে পরিষেবা।
দেশের যে ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, অধমপুর, অম্বালা, অমৃতসর, অবন্তিপুর, বাতিন্ডা, ভূজ, বিকানের, চণ্ডীগড়, হালওয়ার, দিন্ডন, জয়সলমেঢ়, জম্মু, জামনগর, যোধপুর, খান্ডলা, কাংরা, কেশুধ, কিষাণগড়, কুল্লু মানালি, লেহ, লুধিয়ানা, মুন্দ্রা, নালিয়া, পাঠানকোট, পাটিয়ালা, পোরবন্দর, রাজকোট, সারসওয়া, শিমলা, শ্রীনগর, থোয়াইস ও উত্তরলাই। এইসব বিমানবন্দরের উদ্দেশে নোটিস জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে আগামী ১৪ মে পর্যন্ত এই সব বিমানবন্দরে কোনও অসামরিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ দেশের যাত্রীদের নিরাপত্তার নিরিখেই। অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। যার বেশিরভাগই মাঝ আকাশে নষ্ট করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ১৪ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হল।
তবে ভারত বিমান বন্দরে অসামরিক পরিষেবা বন্ধ করলেও দেশের নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। ভারতের প্রত্যাঘাত এড়াতে অসামরিক বিমান পরিষেবা চালু রেখেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। ড্রোন হামলার সময়ও করাচি ও লাহোরের মাঝে আকাশপথ খোলা রেখেছিল ইসলামাবাদ। যেখানে চলাচল করেছে আন্তর্জাতিক বিমানও। ছবি দেখিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যোমিকা সিং বলেন, “অসামরিক বিমানের যাত্রীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। ওরা জানত ড্রোন হামলা রুখতে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কাজ করবেই। যা বিমানযাত্রীর জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। তারপরেও ভারত-পাকিস্তান সীমায় ওঠানামা করেছে আন্তর্জাতিক বিমান।”
