সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লেখাপড়া শেখানোর পাশাপাশি অভিভাবকের মতোই বকাঝকাও করবেন শিক্ষকরা। এটাই দস্তুর। কিন্তু সেই শিক্ষকের বকুনি আর মারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
ঘটনা ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদের। নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী উষা কুমারী স্কুলে গিয়েছিল কপালে টিক পরে। কেন সে টিপ পরে স্কুলে এসেছে? এই প্রশ্ন তুলেই তাকে ধমক দেন এক শিক্ষিকা। অভিযোগ, সামান্য টিপ পরায় স্কুলের প্রার্থনার সময় সহপাঠীদের সামনেই উষার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন ওই শিক্ষিকা। এমনকী তাকে থাপ্পড়ও মারেন তিনি। আর এই অপমানই সহ্য করতে পারেনি সে। গত সোমবার বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় উষা।
[আরও পড়ুন: বহু বুথে বাতিল তৃণমূলের ভোট, নেপথ্য সরকারি কর্মীদের কারসাজি? উঠছে প্রশ্ন]
ধানবাদ থানার পুলিশ জানিয়েছে, হনুমানগড়ি কলনির বাসিন্দা ছিল উষা। তার বাড়ি থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মঘাতী হওয়ার আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছিল সে। তার স্কুল ইউনিফর্মের পকেট থেকে চিঠিটি খুঁজে পায় পুলিশ। সেখানে তেতুলমারি পুলিশের কথা উল্লেখ করে উষা জানিয়েছে, তার মৃত্যুর জন্য ওই শিক্ষিকা এবং স্কুলের প্রিন্সিপালই দায়ী। উষার মৃত্যুর পরই এলাকায় ছড়ায় তীব্র উত্তেজনা। মঙ্গলবার তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। শিক্ষিকা ও প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এরপরই তড়িঘড়ি আসরে নামে পুলিশ। তেতুলমারি থানার এসএইচও আশিস কুমার যাদব জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের রয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষিকা এবং প্রিন্সিপালকে। দোষ প্রমাণিত হলে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি হবে বলেও বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করেন তিনি।