সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার (Haryana) গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রাণ হারাতে পারতেন নুহ জেলা আদালতের প্রধান বিচারক এবং তাঁর ৩ বছরের শিশুকন্যা। ভাগ্যের জোরে রক্ষা মেলে। পুলিস সূত্রে প্রকাশ্যে এল এমনই তথ্য। সোমবার ভয়ংকর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন বিচারক। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। কোনওরকমে মেয়েকে কোলে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন বিচারক।
সোমবার বিজেপি শাসিত হরিয়ানার নুহ-তে ‘ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা’র আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়েতে মিছিলে বাধা দেয় একদল যুবক। তাঁরা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তার জেরেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত বহু। পোড়ানো হয়েছে অসংখ্য গাড়ি, বাড়ি, দোকান।
[আরও পড়ুন: আড়াই দশক পর ‘মুক্ত’ অভিশপ্ত সেই উপহার সিনেমা প্রাঙ্গন]
গোষ্ঠী সংঘর্ষে দিল্লি-আলোয়ার রোডে আটকে পড়েছিল নুহ জেলা আদালতের প্রধান বিচারক অঞ্জলী জৈনের গাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিল তিন বছরের কন্যা। অভিয়োগ, একশ থেকে দেড়শো জনতার ভিড় বিচারকের গাড়ি লক্ষ্য করেও পাথর বৃষ্টি শুরু করে। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হয়। মেয়েকে কোলে করে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। আশ্রয় নেন নিকটবর্তী বাসস্টপের কাছে একটটি ওয়ার্কশপে। পরে বিচারক এবং শিশুকন্যাকে উদ্ধার করেন কয়েকজন আইনজীবী। মঙ্গলবার নুহ শহর থানায় এফআইআরে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিচারক অঞ্জলী জৈন।
[আরও পড়ুন: মন্দিরের নিদর্শন নষ্ট করা হতে পারে! জ্ঞানবাপীতে নিরাপত্তার দাবিতে মামলাঘ
এফআইআরে বলা হয়েছে, “পাথর বৃষ্টির পাশাপাশি দাঙ্গাকারীরা প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছিল। একের পর এক পাথর উড়ে আসে আমার গাড়ি লক্ষ্য করে। আমি, মেয়ে, নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ি চালক কোনওক্রমে গাড়ি থেকে বেরিয়ে ওয়ার্কশপে আশ্রয় নিই। খবর পেয়ে কয়েকজন আইনজীবী আমাদের উদ্ধার করেন। পরদিন ঘটাস্থলে গাড়িটি মিললেও। যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানোয় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সেটির।