shono
Advertisement
Supreme Court

'ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে' ধর্ষণের মামলার বিচার! কোন যুক্তিতে 'দোষী'কে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট

নিম্ন আদালতে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল যুবকের।
Published By: Saurav NandiPosted: 01:23 PM Dec 27, 2025Updated: 01:23 PM Dec 27, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে ঠিকই। কিন্তু নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে! শুরু থেকেই এ কথা বুঝতে পেরেছিলেন বিচারপতিরা। সেই মতো দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করানোরও চেষ্টা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানতে পারে, মামলাকারী সেই যুবতী এবং নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সেই যুবক বিয়ে করে এখন সুখেই আছে। তা নজরে রেখেই অবশেষে ওই যুবককে মামলা থেকে মুক্তি দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা জানালেন, 'ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়'ই দিয়ে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্ত একসঙ্গে থাকতেই পারে।

Advertisement

২০১৫ সালে সমাজমাধ্যমে পরিচয় ওই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে বন্ধুত্ব। পর্যায়ক্রমে প্রেম। কিন্তু সেই প্রেম পরিণয়ে গড়ায়নি। এর পরেই ২০২১ সালে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। তার ভিত্তিতে যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩৭৬ (২) (এন) ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলায় নিম্ন আদালত অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে। ১০ বছরের কারাবাসের সাজাও হয় তাঁর। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন যুবক। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি নাগারত্ন এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা শুনানিতে গোটা মামলার ব্যাপারে জানার পর দু'পক্ষের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন। এর পর দু'জনের পরিবারই বিয়েতে রাজি হয়। সেই মতো দোষী সাব্যস্ত হওয়া যুবককে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনও দেয় শীর্ষ আদালত। গত জুলাই মাসে বিয়ে হয় ওই যুবক এবং যুবতীর। চলতি মাসে মামলাটি আবার ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। তাতে বিচারপতিরা জানতে পারেন, দু'জনে বিয়ে করে এখন ভালোই আছেন। এ কথা শোনার পরেই মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতিরা। রায়ে বিচারপতিরা বলেছন, "কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে ওঁদের সম্পর্কটা ভেঙে গিয়েছিল। এটা আমরা শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলাম।"

ওই যুবক মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। সুপ্রিম কোর্ট ওই যুবককে আবার চাকরিতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি সাসপেনশনে থাকার সময়ে তাঁর যে বেতন পাওয়ার কথা ছিল, সেটাও যাতে তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে ঠিকই। কিন্তু নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে!
  • শুরু থেকেই এ কথা বুঝতে পেরেছিলেন বিচারপতিরা।
  • সেই মতো দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করানোরও চেষ্টা হয়েছিল।
Advertisement