বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ভবিষ্যনিধি তহবিল তথা ইপিএফও-তে বড় সংস্কার আসন্ন। ২০২৬-এর মধ্যে ১০০ কোটি নাগরিককে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে চায় কেন্দ্র। তার জন্য দেশজুড়ে আধুনিক ও প্রযুক্তি-সক্ষম ইপিএফও দপ্তর গড়ে তোলা হবে, যাতে যে কোনও আঞ্চলিক কার্যালয় থেকেই নাগরিকরা ইপিএফ-সংক্রান্ত পরিষেবা পেতে পারেন।
নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টে আটকে থাকা অর্থ ফেরত দিতে মিশন-মোডে কেওয়াইসি অভিযান চালু করা হবে। পাশাপাশি, ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সামাজিক সুরক্ষা বিধান যুক্ত করে বিদেশে কর্মরত ভারতীয়দের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। শুক্রবার গুজরাটে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ইপিএফও-কে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও নাগরিক-কেন্দ্রিক করে তোলাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে দাবি করে আগামী দিনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মাণ্ডব্য বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশের প্রায় ১০০ কোটি নাগরিককে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা। এই লক্ষ্য অর্জনে ইপিএফও-র সংস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে পরিষেবা প্রদানের গতি বাড়বে এবং ইপিএফ পরিষেবা আরও সহজ হবে। আন্তর্জাতিক স্তরেও সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলিতে সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর ফলে বিদেশে কর্মরত ভারতীয় শ্রমিকরা দেশে ফিরে আসার পরেও তাদের প্রাপ্য সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা বজায় রাখতে পারবেন।
