সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রতিটি মেয়েরই অধিকার। অভিমত সর্বোচ্চ আদালতের। সেই অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে না কোনও প্রতিষ্ঠান। সরকারি হোক বা বেসরকারি, প্রত্যেককেই দিতে হবে এই ছুটি। তামিলনাড়ুর এক সরকারি শিক্ষিকার মামলায় এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে কোনও মহিলাকে মাতৃত্বকালীন যে সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়, তার অবিচ্ছেদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মাতৃত্বকালীন ছুটি।
মামলাকারী, তামিলনাড়ুর শিক্ষিকা দাবি করেন যে দ্বিতীয়বার বিয়ের পরে তাঁর যখন সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, তখন তাঁকে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়নি। প্রথম বিয়েতে তাঁর দুই সন্তান হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটির আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র প্রথম দুই সন্তানের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা পাওয়া যাবে বলে তামিলনাড়ু সরকারের নিয়ম আছে।
এমনিতে সুপ্রিম কোর্টের সেই পর্যবেক্ষণের মাসখানেক আগেই মহিলা সরকারি কর্মচারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে তামিলনাড়ু সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যে মহিলাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ নয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতদিন প্রবেশন পিরিয়ডে থাকা মহিলা সরকারি কর্মচারীরা সেই সুযোগ পেতেন না। এবার থেকে তাঁরাও মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
শিক্ষিকা জানান, প্রথম দুই সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটি বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেননি। কারণ দ্বিতীয়বার বিয়ের পরে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষিকা। তাঁর পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করেন, রাজ্য সরকার মাতৃত্বকালীন ছুটির আর্জি খারিজ করে দিয়ে শিক্ষিকার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই নয়, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মন পেতে আরও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় তামিলনাড়ু সরকার। একলপ্তে ম্যারেজ অ্যাডভান্স বৃদ্ধি করা হয়। একই ভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও নাগরিক বান্ধব প্রকল্প এনে রাজ্যবাসীর মন কাড়তে চাইবে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটিও বড় পদক্ষেপ হতে পারে স্ট্যালিন সরকারের।