shono
Advertisement

Breaking News

মোদি সরকারের জন্যই সন্ত্রাসের পথ ছেড়েছেন উত্তর-পূর্বের যুবরা, দাবি অমিত শাহের

এই বিষয়ে কংগ্রেসের তুমুল সমালোচনাও করেন তিনি।
Posted: 07:38 PM Dec 26, 2020Updated: 07:38 PM Dec 26, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির সরকারের জন্যই সন্ত্রাসের রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরেছেন উত্তর-পূর্বের যুবরা। হাত লাগিয়েছেন এই অঞ্চলের উন্নয়নে। শনিবার অসমে এই দাবিই করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি বোড়োল্যান্ড চুক্তি মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলেও উল্লেখ করলেন তিনি।

Advertisement

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সারতে শুক্রবার রাতে দুদিনের সফরে অসম ও মণিপুর গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া গুয়াহাটিতে একটি মেডিক্যাল কলেজ ও অসমের বিভিন্ন এলাকায় মোট ৯টি আইন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা তাঁর। এর মাঝেই শনিবার কামরূপ জেলার আমিনগাঁওতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে দিয়ে অসমের রক্তাক্ত অতীতের জন্য কংগ্রেস ও বিরোধীদের তুমুল সমালোচনা করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

[আরও পড়ুন: বছর শেষেই মিটবে কৃষক বিক্ষোভ? কেন্দ্রের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠকে বসছেন চাষিরা ]

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অসমের উন্নয়নের জন্য অতীতে সেভাবে কিছু করেনি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। একই কথা বলা যায় এই অঞ্চলের অন্য রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও। উত্তর-পূর্বের যে যুবরা সমাজের মূলস্রোত থেকে সন্ত্রাসবাদের রাস্তায় হেঁটে ছিল তাদের ফেরানোরও কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এর ফলে গত কয়েক দশকে অসমের জনগণ প্রচুর বিক্ষোভ হতে দেখেছেন নিজেদের রাজ্যে। এই সমস্ত আন্দোলনের সময় অসমের অনেক যুব অকালে প্রাণও হারিয়েছে। যার প্রভাবে এই রাজ্যে শান্তির পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের গতিও থমকে গিয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অসম থেকে ১৮ বছর ধরে সাংসদ মনোনীত হলেও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেননি। কিন্তু, মোদি সরকারের আমলে আমূল বদলে গিয়েছে এই রাজ্যের রূপ। আগে যে গোষ্ঠীগুলি যুবদের বিচ্ছিন্নতাবাদের পাঠ পড়াত। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিত। তারাই এখনও সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে। তাই অসম এখন জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম ভাগীদারে পরিণত হয়েছে। এই রাজ্যের ভক্তি আন্দোলন যত পুনরুজ্জীবিত হবে ততই সন্ত্রাসের রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরবেন মানুষ। এর জন্য ৫০ বছরের পুরনো প্রতিটি নামঘরকে আড়াই লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্য দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

বোড়োল্যান্ডের (Bodoland) আন্দোলনের সমাপ্তির জন্যও তিনি খুব আনন্দিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘সম্প্রতি বোড়োল্যান্ডের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। কোনও রক্তপাতের ঘটনাও ঘটেনি। যা দেখে খুব গর্ব হয়েছে আমার। তবে বোড়োল্যান্ডের নির্বাচন তো সেমিফাইনাল ছিল। আগামী বছর বিধানসভা ভোটে সোনোয়াল-হিমন্ত জুটির নেতৃত্বে আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব।’

[আরও পড়ুন: ‘কৃষি আইনের ভাল-মন্দ বুঝিয়ে বলতে পারবেন?’, রাহুলকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ জাভড়েকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement