সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামিদিনে কি শশী থারুরকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে? বামশাসিত রাজ্যের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। মুম্বইয়ের 'ভোট ভাইব' নামের এক এজেন্সি এই সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২৮.৩ শতাংশ মানুষ শশীকেই দেখতে চান রাজ্যের মসনদে। তবে ২৭.১ শতাংশ মানুষ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে নিয়ে সংশয়াচ্ছন্ন।
২০২৬ সালের মে মাসে কেরলের বিধানসভা নির্বাচন। পিনারাই বিজয়নের সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া হাত শিবির। এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, লড়াইয়ে শশীকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মানুষ। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৩০ শতাংশ পুরুষ ও ২৭ শতাংশ নারী তাঁর প্রতিই সমর্থন জানাচ্ছেন। ৩৪.২ শতাংশ বর্ষীয়ানরা (৫৫ বছর বা তার বেশি বয়স) ভোট দিচ্ছেন চারবারের সাংসদকে। ১৮-২৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রেও তিনিই পাচ্ছেন ২০.৩ শতাংশ ভোট। শশী থারুর নিজের এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন ওই সমীক্ষার ফলাফল।
তবে শশী এতটা সমর্থন পেলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে মানুষ পছন্দ করছেন বাম জোটের কে কে শৈলজাকে। তিনি পেয়েছেন ২৪.২ শতাংশ ভোট। সেখানে ১৭.৫ শতাংশ ভোট পাচ্ছেন পিনারাই বিজয়ন। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে কেরলের বামঘেঁষা মানুষরাও বিজয়নকে ততটা পছন্দ করছেন না।
এদিকে শশী থারুর সমীক্ষায় এত ভোট পেলেও এই মুহূর্তে দলের মধ্যেই কোণঠাসা তিনি। মার্কিন মুলুকে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান গেয়ে পবন খেরা, উদিত রাজ, জয়রাম রমেশের মতো নেতাদের খোঁচার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। শশী এআইসিসি সদস্য। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন লড়েছিলেন। এহেন নেতা লাগাতার প্রকাশ্যে দলের অবস্থানের উলটো পথে গিয়ে মোদি সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যেই শশী বিজেপির সুরে সুর মিলিয়েছেন। জরুরি অবস্থার নিন্দা করেছেন। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
