সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশের অভ্যুত্থান হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে? বাংলাদেশের নির্বাচনের আবহাওয়ায় উড়ছে এই প্রশ্ন। এরমধ্যেই এসে গেল বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস, যা বিজয় দিবস নামে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন একাত্তরের যুদ্ধে পাক বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করা ভারতীয় জওয়ানদের। যাঁদের বীরত্বে সার্থক হয়েছিল মুক্তি বাহিনী ও বাংলাদেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের স্বপ্ন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে 'বাংলাদেশ' শব্দটি একবারও উল্লেখ করেননি মোদি। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের অবদান মনে রাখছে না। বরং ভারত বিদ্বেষে উৎসাহী তারা।
এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছেন, "বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করছি যাঁদের আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতকে ঐতিহাসিক বিজয় এনে দিয়েছিল। তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের মুহূর্ত স্থাপন করেছে। এই দিনটি তাঁদের বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, তাঁদের অতুলনীয় চেতনার স্মারক। তাঁদের বীরত্ব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুপ্রাণিত করে চলেছে আমাদের।"
বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও ভারতীয় সেনা বাহিনীর নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের কথা স্মরণ করেন। একাত্তরের পাশাপাশি সাম্প্রতিক পহেলগাঁও হামলার পর সফল 'সিঁদুর' অপারেশনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উল্লেখ করেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ভারতের তিন বাহিনীর অতুলনীয় বীরত্বকে।
বিজয় দিবসে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেননি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস। যথারীতি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান নিয়ে মুখ কুলুপ নোবলেজয়ীর। তবে এদিন সকালে বাংলাদেশের সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং পাকিস্তানের বন্ধু জামাতের পরামর্শে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। যাকে বিজয় দিবসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলছেন পদ্মাপাড়ের বহু মানুষ। যদিও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। আগামী নির্বাচনের পর কি পালটাবে পরিস্থিতি?
