সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মান্ধ মানুষের অত্যাচারে ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ওঁরা। পাকিস্তানি হিন্দু উদ্বাস্তু পরিবারগুলির ঠাঁই হয় দিল্লির মঞ্জু কা টিলা এলাকায়। অস্থায়ী ছাউনিই সর্বহারা মানুষগুলোর আশ্রয়স্থল। দিল্লি বিধানসভা ভোটে এই প্রথমবার ভোটাধিকার পেতে চলেছেন তাঁরা। স্বভাবতই এই ঘটনায় ভীষণ খুশি পাকিস্তান থেকে আসা উদবাস্তু পরিবারগুলি। এমন দিনেরই অপেক্ষায় ছিলেন মানুষগুলি।
পাকিস্তানে বছরের পর বছর ধর্মীয় বৈষম্য সহ্য করার পরে ভারতে এসে অনেকটাই স্বস্তিতে ছিলেন উদ্বাস্তু পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা। এর মধ্যেই ভোটাধিকারের খবর পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। মঞ্জু কা টিলা এলাকার অধিবাসী পরিবারগুলির কাছে আগামী নির্বাচন শুধু ভোট নয়, বরং ভারতীয় নাগরিকত্বের স্বীকৃতি। অনেকেই ২০১৩ সালে রাজধানীর থিতু হয়েছেন। এতদিনে তাঁদের স্বপ্ন সফল হচ্ছে।
বছর বাইশের সতরাম এলাকায় মোবাইল ফোনের কভারের ব্যবসা করেন। তিনি উত্তেজনা লোকাতে পারেননি। বলেন, "আমি ২০১৩ সাল থেকে এখানে বাস করছি। এবারে ভোট দেব। ভোটার জনসংখ্যার অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। বাবা-মা এবং আমাদের প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী ভোট দেব আমি। প্রচুর কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে সামনে। তা সামেলই এগিয়ে যাব।" অষ্টাদশী মোহিনী বলেন, "এক সময় পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। এখন আর তা সম্ভব নয়। আমি চাই পেশামুখী কাজ শিখতে সাহায্য করুক সরকার।"
সতরাম, মোহিনীর মতোই জানকী, শিবরাম, রাধার মতো সকলেই আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার পেয়ে বেজায় খুশি। সকল সমস্বরে স্লোগান দিচ্ছেন---ভারত মাতা কী জয়। প্রশ্ন উঠছে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পাওয়ায় কি বদলে যাবে পাকিস্তান থেকে আসা এই উদবাস্তু মানুষগুলির জীবন? ভোটে জেতার পরে ওঁদের পাশে দাঁড়াবেন নেতারা?