সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের টানে পাকিস্তান (Pakistan) ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন। চার সন্তানকে নিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। মুসলিম ধর্ম পালটে গ্রহণ করেছেন হিন্দু ধর্ম। কিন্তু এবার খোঁজ মিলছে না সেই সীমা হায়দরের। জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরেই সীমা ও তাঁর স্বামীকে বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, সীমানা পেরিয়ে ভারতে আসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই একাধিকবার হুমকির মুখে পড়েছেন সীমা হায়দর ও তাঁর পরিবার। তারপরেই আচমকা নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন নবদম্পতি।
নয়ডার (Noida) বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছেন, এমনটাই দাবি ছিল পাক যুবতী সীমার। নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁদের আটকও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে শচীনের বাড়িতেই সংসার শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু গত চারদিন ধরে শচীন ও সীমাকে দেখা যাচ্ছে না বলেই দাবি প্রতিবেশীদের। নবদম্পতি কোথায় গিয়েছেন, সেই নিয়েও কেউ কিছু জানেন না।
[আরও পড়ুন: অটিজম আক্রান্ত তরুণকে নাচতে চাপ, রাস্তায় ফেলে ‘মার’, অমানবিকতার নজির টালিগঞ্জে]
অন্যদিকে, সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন শাখা। কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে কি করে তিনি ভারতে এলেন, কোন পথে ভারতে ঢুকতে পারলেন পাক নাগরিক- সমস্ত বিষয় নিয়েই তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই সীমা ও তাঁর চার সন্তানদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এটিএসের হেফাজতে রয়েছে সীমার ফোনও। এহেন পরিস্থিতিতে সীমা ও তাঁর স্বামীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, অতিমারীর সময় জনপ্রিয় অনলাইন গেম PUBG খেলতে খেলতেই মন দেওয়া-নাওয়া হয় দুই প্লেয়ারের। চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান থেকে তরুণী সীমা হায়দার পৌঁছে যান গ্রেটার নয়ডায় নিজের প্রেমিক শচীনের কাছে। ইতিমধ্যেই ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন সীমা। নিজের সন্তানদের নামও পালটে দিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যু ভাল। তারপরেই আচমকা বেপাত্তা সীমান্ত পেরনো বধূ।