সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমানা নিয়ে তুঙ্গে অসম (Assam) ও মিজোরামের বিবাদ। কয়েকদিন আগেই কাছাড়-কলাসিব সীমান্তে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ফলে প্রাণ হারান অসম পুলিশের ছয় কর্মী। তারপর থেকেই বিতর্কিত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধান খুঁজতে সোমবার অসমের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
[আরও পড়ুন: Tripura: ‘বিক্ষুব্ধ’ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা Abhishek-এর, বাতলালেন সমস্যা সমাধানের উপায়ও]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মিজোরামের রাজ্যপাল হরিবাবু কামভামপতি। দুই রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের বিষয়টি নিয়ে মিজোরামের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন রাজ্যপাল বলে খবর। সীমান্ত সংঘাতের বিষয়টিকে খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করে গভর্নর হরিবাবু জানিয়েছেন, সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে দুই রাজ্যের সঙ্গেই আলোচনা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার মধ্যে চলা ঠান্ডা লড়াই আপাতত স্তিমিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনাও করেছেন দু’জনে বলে খবর। শীঘ্রই দু’জনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে সেই আশা জাগিয়ে এফআইআর থেকে হিমন্তর নাম সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন জোরামথাঙ্গা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে অসম ও মিজোরামের পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে দুই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে। অত্যাধুনিক রাইফেল ও মেশিনগান দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় দুই বাহিনী। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় অসম পুলিশের ছয় কর্মীর। তারপর সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। তারপর সমস্যা আরও বাড়িয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ‘অ্যাটেম্প্ট টু মার্ডার’ বা খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে মিজোরামের পুলিশ। শুধু তাই নয়, অভিযোগপত্রে অসম পুলিশের চার শীর্ষকর্তা ও ২০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নাম রয়েছে বলেও খবর। মিজোরামের দায়ের হওয়া মামলায় বলা হয়েছে যে, বিশাল বাহিনী নিয়ে জোর করে মিজোরামের বর্ডার পোস্ট দখল করার চেষ্টা করে অসম পুলিশ।