সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোরা পথে আমেরিকা। একবার সেখানে পৌঁছতে পারলেই বদলে যাবে জীবন। লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে ভারতীয় যুবকদের 'ডাঙ্কি রুটে' আমেরিকা পাঠাতে গড়ে উঠেছিল বিরাট চক্র। হাতে পায়ে বেড়ি পরিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের ট্রাম্প সরকার ফেরত পাঠানোর পর, সেই চক্র ভাঙতে তৎপর হল পাঞ্জাব সরকার। অমৃতসর প্রশাসনের তরফে প্রায় ৪০টি ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।

আমেরিকায় ট্রাম্প সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেশ কয়েক দফায় ৩০০-র বেশি ভারতীয়কে বিমানে করে ফেরত পাঠানো হয়েছে পাঞ্জাবের অমৃতসরে। এই ঘটনার পরই তৎপর হয় পাঞ্জাবের আপ সরকার। যে সব অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই চক্রের জাল খুঁজে বের করে। জানা যায়, বিপুল টাকার বিনিময়ে বহু ট্রাভেল এজেন্সি অবৈধ পথে ভারতীয়দের নিয়ে যায় আমেরিকায়। এই ধরনের এজেন্সিকে চিহ্নিত করে ৪০টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার সাক্ষী সাইনি। পাশাপাশি ২৭১ টি এমন ট্রাভেল এজেন্সিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ দফায় ৩৪৫ জনকে বিমানে করে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প সরকার। এই অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ১৩১ জন পাঞ্জাবের নাগরিক। এই ঘটনায় পর স্বাভাবিকভাবেই নড়েচড়ে বসে পাঞ্জাব সরকার। গোটা ঘটনার তদন্তে তৈরি করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। তবে ১৩১ জনের মধ্যে মাত্র ১৭ জন পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে ট্রাভেল এজেন্সি। এফআইআরের ভিত্তিতে তিন এজেন্টকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
পাশাপাশি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবে যত ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে সবকটি এজেন্সির রেকর্ড ও নথিপত্র পরীক্ষা করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার। পাশাপাশি রাজ্যবাসীর মধ্যে সচেতনতার প্রচার করা হবে যাতে তাঁরা অবৈধভাবে আমেরিকা বা অন্য কোনও দেশে না যান।