সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে দেশকে অপমান করার অভিযোগে বিদ্ধ রাহুল গান্ধী এবার মুখ খুললেন সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Cambridge) তাঁর করা যে মন্তব্য নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলছে সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বললেন, তিনি লন্ডনে শুধু ভারতের গণতন্ত্রের বিপন্নতা বোঝাতে চেয়েছেন। আর সেটা কোনওভাবেই দেশদ্রোহিতা হতে পারে না।
কিছুদিন আগে লন্ডন সফরে গিয়ে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, “ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন। বিরোধীদের স্বর দমন করা হচ্ছে। সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মাইক পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এমন এমন ঘটনায় মামলা হয়, যা আদৌ করা যায় না।” বিজেপির অভিযোগ, বিদেশের মাটিতে এই মন্তব্য করে আসলে দেশের বিরোধিতা করেছেন রাহুল। ওয়ানড়ের সাংসদের সেই মন্তব্য নিয়ে লাগাতার উত্তাল হচ্ছে সংসদও। বিজেপি (BJP) সাফ বলে দিচ্ছে রাহুল ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত সংসদ চলতে দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড, দাউদাউ করে জ্বলছে NT-1 স্টুডিওর একাংশ]
রাহুল নিজে সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সেখানে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শেষে জি-২০ (G-20) সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মুখ খোলেন কংগ্রেস নেতা। শনিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের নেতৃত্বে জি-২০ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রাহুলের মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। আসলে রাহুলকে উদ্দেশ্য করে এদিন বিজেপি সাংসদরা কটাক্ষ শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই কটাক্ষের জবাবেই কংগ্রেস (Congress) সাংসদ বলেন, তিনি গণতন্ত্রের অবস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন। এবং কোনও বিদেশি পদক্ষেপ ছাড়া ভারত নিজেই সেই সমস্যার সমাধান করবে বলেও জানিয়েছিলেন। কোনওভাবেই ভারত বিরোধিতা করেননি।
[আরও পড়ুন: ডিএ বিতর্কের মধ্যেই সরকারি দপ্তরে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালুর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
বক্তব্যের মাঝপথেই তাঁকে থামিয়ে দেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁরা বলেন, রাহুল আসলে জি-২০ সভাপতিত্বর মতো ইস্যু থেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। পালটা আবার বিরোধী সাংসদরা আবার বলা শুরু করেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার আছে রাহুলের। এই নিয়ে বিতণ্ডার মাঝে আসরে নামতে হয় কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে। তিনিই সদস্যদের শান্ত করে বলে দেন, জি-২০ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে আলোচনা হবে না। বৈঠকে ছিলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মুরলীধরন, বিজেপি সাংসদ জিভিএল নরসিংহ রাও, মহেশ জেঠমালানি, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুররাও।