সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার রায়পুরে। রায়পুর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে যশপুর জেলার কুঙ্কুরিতে, ২৫ বছর বয়সী এক আদিবাসী যুবক তাঁর ৬৫ বছর বয়সী মায়ের মৃত্যুদেহ আগলে ঘরে ছিলেন প্রায় ২০ দিন।
জানা গিয়েছে, মায়ের মৃত্যুর পরে প্রায় ২০ দিন ধরে তাঁর মৃতদেহ আগলে রেখে একই ঘরে থাকছিলেন ২৫ বছরের প্রবীন খালকো। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় ডেলিভারি কর্মী হিসেবে কাজ করেন প্রবীন। যশপুরে একটি ভাড়াবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বাড়ির মালিক প্রবীনের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশের কাছে খবর দেন। তারপরেই সামনে আসে এই ঘটনা।
কুনকুরি শহরের ইনস্পেক্টর রাকেশ যাদব বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধা সাবিনা খালকোর পচাগলা দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন। আমরা তার বিছানার কাছে কিছু মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন খুঁজে পেয়েছি।' তিনি আর বলেন, 'সম্ভবত ৬ ডিসেম্বর ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। প্রেসক্রিপশন থেকে বোঝা যাচ্ছে, ছেলেটি সম্ভবত তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য কোনও ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ছেলেটির মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় রয়েছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ওই মহিলা শয্যাশায়ী ছিলেন বহুদিন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্য কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল না। মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মায়ের মৃত্যুর পরে গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবক। ওই যুবকের মনেও আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
