সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর কি এবার আরও বড় প্রত্যাঘাতের পথে ভারত? পালটা দিতে পারে পাকিস্তানও। নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজস্থান আর পাঞ্জাবে জারি হাই অ্যালার্ট। দুই রাজ্যেরই সীমান্ত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অতি সতর্ক সেনাও। দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত ‘ব্ল্যাকআউটে’র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে সন্দেহজনক কোনও গতিবিধি দেখলেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-কে 'শুট অ্যাট সাইটে'রও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে। যত সময় গড়াচ্ছে জোরাল হচ্ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা।
অপারেশন সিঁদুরের পর এখন পাক সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা উদ্বেগে রয়েছেন। পাঞ্জাব ও রাজস্থান তার ব্যতিক্রম নয়। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপে হিসাবে আজ এই দুই রাজ্যের সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়েছে। জারি হাই অ্যালার্ট। পাঞ্জাবে সমস্ত পুলিশকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনার কারণে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সমস্ত সরকারি কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছেন। ব্ল্যাকআউটের নির্দেশিকা অমৃতসরে।
এদিকে, রাজস্থানের সঙ্গে ১০৩৭ কিলোমিটার এলাকা ভাগাভাগি করে রয়েছে পাকিস্তান সীমান্ত। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সেখানে। সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধি নজর এলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। বায়ুসেনাও অত্যন্ত সজাগ। এদিকে, যুদ্ধবিমানের মহড়া জন্য ৯ মে পর্যন্ত যোধপুর, কিষাণগড় ও বিকানের বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সুখোই ৩০ এমকেআই ফাইটার জেট গঙ্গানগর থেকে কচ্ছের রণ পর্যন্ত টহল দিচ্ছে। বিকানের, জয়সলমের ও বারমেড় জেলায় স্কুল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। স্থগিত হয়েছে পরীক্ষা। বাতিল পুলিশ ও রেল কর্মীদের ছুটি। জয়সলমের ও যোধপুরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট থাকবে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও সেরে ফেলা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম।
ভারতের হাতে সপাটে চড় খাওয়ার পর গতকাল দিনভর পাকিস্তানের দ্বিচারিতা দেখেছে বিশ্ব। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ভারতে পালটা প্রত্যাঘাত করতে সেনা বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু পরে ইসলামাবাদ জানায়, ভারত আর হামলা না চালায় তাহলে পাকিস্তান কোনও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও উত্তেজনা কমেনি নিয়ন্ত্রণরেখায়। সাধারণ ভারতীয়দের টার্গেট করে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে লাগাতার গুলি ছুড়ছে পাক সেনা।
এই যুদ্ধের আবহে অমৃতসরে মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। বুধবার রাতের আকাশে তীব্র শব্দ ও আলোর ঝলকানি দেখেন বলে দাবি স্থানীয়দের। সকালে উদ্ধার হয় মিসাইলের মতো কিছুর ধ্বংসাবেশ। তাহলে কী রাতে পালটা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান? পুলিশের ফরেনসিক দল ওই ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখছে। যদিও ভারত সরকারের তথ্য় যাচাই এজেন্সি নিশ্চিত করেছে, অমৃতসর সেনাঘাঁটিতে পাকিস্তানি মিসাইলের হামলা হয়নি। এই ধরনের গুজবে কান না দিতেও বলা হয়েছে। তবে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে সেনা।
