ধর্মের নামে রাজনীতি কি সংবিধান লঙ্ঘন নয়? মুসলিম সংরক্ষণ ইস্যুতে শাহকে তোপ সিব্বলের

01:49 PM Mar 28, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করার বিষয়টি আসলে সংবিধান বিরোধী, এমনটাই দাবি করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এবার সেই মন্তব্যের রেশ টেনেই তাঁকে বিঁধলেন রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করাটা কি সংবিধান বিরোধী নয়? প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকে (Karnataka) মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে বিজেপি সরকার। 

Advertisement

শুক্রবার মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে কর্ণাটক সরকার। তারপরেই রবিবার সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, “ধর্মীয় ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা আসলে সংবিধান বিরোধী। এমন কোনও ধারা নেই যেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আসলে তোষণের রাজনীতি করতে গিয়েই এমন সংরক্ষণ ব্যবস্থা শুরু করেছিল কংগ্রেস।”

[আরও পড়ুন: অভিষেকের সভা নিয়ে ফের জটিলতা, সভা বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টে ডিএ আন্দোলনকারীরা]

এই মন্তব্যের পালটা দিয়ে টুইট করেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ আসলে সংবিধান (Indian Constitution) বিরোধী। তাহলে ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করা, প্রোপাগান্ডা করা- সেগুলো কি সংবিধান বিরোধী নয়। ধর্মের নামে ভাষণ দেওয়া,অ্যাজেন্ডা তৈরি-সমস্ত বিষয়ে কি সংবিধানের আদর্শ ক্ষুণ্ণ হয় না? প্রসঙ্গত কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, কর্ণাটকে তারা ক্ষমতায় ফিরলে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

Advertising
Advertising

অমিত শাহ মুসলিমদের সংরক্ষণের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন বটে, বাস্তবে ওই সংরক্ষণ শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তখন ক্ষমতায় জনতা দল, মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এইচ ডি দেবগৌড়া। কংগ্রেসের বক্তব্য, জেনে বুঝে ভোটের আগেভাগে কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এইসঙ্গে হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের রাজনীতির ফায়দা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।

[আরও পড়ুন: ফের প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের সময়সীমা বাড়ছে? নয়া সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র]

Advertisement
Next