সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi) অন্যতম হত্যাকারী এ জি পেরারিভালানকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ১৯ বছর বয়সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। ১৯৯৯ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও ২০১৪ সালে তার এবং অন্য দুই অপরাধী মুরুগান ও সান্থানের সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পেরারিভালানকে জামিন দেওয়া হবে কিনা তা বিবেচনা করে দেখছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেননা রাজ্যপালের কাছে আগেই তাকে মুক্তি দেওয়ার আরজি জানিয়েছিল সে। সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি রাজ্যপাল। তার আগেই তাকে মুক্তি দেওয়া উচিত কিনা তা বিবেচনা করে দেখার পর রায় দিল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্র অবশ্য এই আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পেরারিভালানের আবেদনে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিই সবচেয়ে বিচক্ষণ মানুষ।
[আরও পড়ুন: ইছাপুর হত্যাকাণ্ড: আর্থিক বিবাদের জের, চা পানের পর ঠান্ডা মাথায় বৃদ্ধাকে খুন পরিচিতর]
১৯৯৯ সালের মে মাস থেকে কারাবন্দি পেরারিভালান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, রাজীব হত্যায় ব্যবহৃত বেল্ট বোমায় ব্যবহারের জন্য একটি ৮ ভোল্টের ব্যাটারি কেনার। ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরের একটি নির্বাচনী জনসভায় তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে হত্যা করে LTTE’র আত্মঘাতী বিদ্রোহী। নলিনী-সহ ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে TADA আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে রাজীব-পুত্র রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, হত্যাকারীদের পুরোপুরি ক্ষমা করে দিতে পেরেছেন তিনি। জানান, বহুদিন পর্যন্ত এ নিয়ে তাঁদের মনে ক্ষোভ ছিল। রাগ ছিল। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, তত সেই ক্রোধ-হতাশা ফিকে হয়েছে। তিনি জানান, তাঁর পিতাকে যে হত্যা করা হবে তা তাঁরা বুঝতেই পেরেছিলেন। জটিল রাজনীতির আবর্তে যখন সংঘাত বাধে, আর কেউ একদিকে অনড় থাকে, তখন এই পরিণতি খুবই সম্ভব, জানান রাহুল।