বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: প্রথমে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে ছবি। তারপর একটি সংবাদপত্রে কেরলে কংগ্রেসের চিরশত্রু পিনারাই বিজয়নের সরকারের প্রশংসা করে লেখা প্রকাশ। এবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের সঙ্গে সেলফি পোস্ট করে ফের বিতর্কে জড়ালেন তিনি। থারুরের ভূমিকা নিয়ে ফের সরব হয়েছে কেরল কংগ্রেস। থারুর আসলে কি চান জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা ভিডি শথিসন।

কেরল কংগ্রেসের সঙ্গে কি ফের যুদ্ধ ঘোষণা করলেন সাংসদ শশী থারুর? প্রশ্ন মালয়ালি রাজ্যে। কারণ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একের পর এক বিতর্কিত পোস্ট করেই চলেছেন তিনি। বুধবার রাজ্যের সমস্ত সাংসদকে দিল্লিতে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকর। সেখানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। রাজ্যের সমস্যা ও এক হয়ে তার মোকাবিলা নিয়ে নৈশভোজে আলোচনা হয়। আলোচনা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে সেলফি তোলেন শশী থারুর। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ছবি দুটি পোস্ট করতেই রাজ্যে ফের শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে লেখেন, ‘একেই বলে সাংবিধানিক ভদ্রতা। রাজ্যের সমস্যা নিয়ে সব দলকে ডেকে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীও হাজির রয়েছেন’।
বছর ঘুরলেই বাংলার সঙ্গেই কেরলের ভোট। সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সেখানে টানা দু’বার ক্ষমতায় রয়েছে বিজয়নের সরকার। এবারও জোর লড়াই। কিন্তু শশী থারুরের বারবার সিপিএম ঘনিষ্ঠতা সেখানকার কংগ্রেস নেতারা মানতে পারছেন না। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য কংগ্রেসের সাংগাঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপালের কাছে আবেদন করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। প্রশ্ন উঠেছে, গতবার থারুর বিতর্কে জড়ানোর পর সামাল দেন রাহুল গান্ধী। দিল্লিতে সব রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে রাহুলের মুখোমুখি হন থারুর। তখনই রাহুল গান্ধী তাঁকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আবেদন করেন।
কিন্তু এবার কে সামাল দেবেন? কারণ বারবার কেরল কংগ্রেসের সঙ্গে থারুর বিবাদে জড়াবেন আর রাহুল সামাল দেবেন, সবসময় সেটা সম্ভব নয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।