সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ শিনা বোরা হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। মেয়ে জীবিত আছে। সিবিআইকে (CBI) বিস্ফোরক চিঠি দিলেন হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তথা শিনা বোরার (Sheena Bora murder case) মা ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, যাকে খুন করার জন্য এতদিন তিনি জেলে পচে মরছেন, তিনি আসলে জীবিতই আছেন। এবং বহাল তবিয়তে কাশ্মীরে বসবাস করছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় (Indrani Mukerjea) সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে একটি চিঠি লিখে দাবি করেছেন, কিছুদিন আগে জেলে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ওই মহিলা তাঁকে জানিয়েছেন, যে শিনা বোরাকে তিনি কাশ্মীরে দেখেছেন। তাই সিবিআইয়ের কাছে ইন্দ্রানীর অনুরোধ, তাঁরা যেন কাশ্মীরে গিয়ে শিনার হদিশ করেন। সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লেখার পাশাপাশি শিনা বোরা জীবিত আছেন, এই দাবিতে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লেখার পাশাপাশি বিশেষ সিবিআই আদালতে আরজিও জানিয়েছেন ইন্দ্রানী।
[আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে কমেছে সন্ত্রাস, সংসদে তথ্য দিয়ে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের]
ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের দাবিতে যদি বিন্দুমাত্র সত্যতা থাকে, তাহলে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড ভারতের ইতিহাসের অন্যতম চাঞ্চল্যকর মামলা হয়ে থাকবে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে গোটা দেশে সাড়া ফেলেছিল শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড। অভিযোগ, সে বছরের ২৪ এপ্রিল একটি গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ২৫ বছরের যুবতীকে। শিনা বোরা ছিলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর সঙ্গী সিদ্ধার্থ দাসের মেয়ে। প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও চালক শ্যাম রাইয়ের সাহায্যে মুম্বই থেকে অনতিদূরে রায়গড়ের নির্জন জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেয় ইন্দ্রাণী৷ তা না হলে ইন্দ্রাণী অনেক আগেই ধরা পড়ে যেত বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের৷
[আরও পড়ুন: লখিমপুর কাণ্ডে জেলবন্দি ছেলেকে নিয়ে প্রশ্ন, মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে গালিগালাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ইন্দ্রানী। প্রথমে পিটারের (Peter Mukerjea) কাছে নাকি নিজের মেয়েকে বোন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে ভিন্ন একটি মামলায় ইন্দ্রানীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের গ্রেপ্তারির পরে। ইন্দ্রানী ছাড়া শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত ইন্দ্রানীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না এবং চালক শ্যাম রাই। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, শিনা এবং পিটারের আগের পক্ষের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পিটার এবং ইন্দ্রানী। সেকারণেই শিনাকে খুন করেন ইন্দ্রানী। যদিও এখন ইন্দ্রানী দাবি করছেন, তাঁর মেয়ে জীবিতই আছেন।