সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবতরণের পর থেকে ২২ দিন পার। তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে অবশেষে হ্যাঙারে সরল ব্রিটিশ এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান। বিমানবন্দরে বিমানটিকে মেরামত করার জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করতে চেয়েছিল ভারত। ব্রিটিশ সেনা তাতে রাজি হয়নি। প্রাথমিকভাবে তারা বিমানটিকে হ্যাঙারেও নিয়ে যেতে রাজি ছিল না। শেষে নিরুপায় হয়েই বিমানটিকে হ্যাঙারে নিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি!
সম্প্রতি ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় একটি যৌথ মহড়ায় যোগ দেয় ‘এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস’। তারই অংশ হিসাবে আকাশে উড়েছিল ওই ‘এফ-৩৫বি’। গত ১৪ জুন ভারত মহাসাগরের উপর দিয়ে ওড়ার সময় আচমকা যুদ্ধ বিমানটির জ্বালানিতে টান পড়ে। এরপরই উড়ানটি কেরলের তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। কিন্তু পরে বিষয়টি জটিল হতে শুরু করে। জানা যায়, বিমানটির হাইড্রোলিকে কিছু সমস্যা রয়েছে। তারপর ২২ দিনের বেশি বিমানটি রানওয়েতেই দাঁড়িয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমানটির মেরামতের জন্য ৪০ সদস্যের দল একটি দলও পাঠিয়েছিল ব্রিটেন। কিন্তু পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায় ভারতে এটি মেরামত করা সম্ভব নয়। কারণ, বিমানটির হাইড্রোলিকে বেশ কিছু জটিল সমস্যা রয়েছে। এর পর নতুন করে আরও একটি প্রযুক্তিবিদদের দল পাঠিয়েছে ব্রিটেন। তাঁরাই বিমানটিকে হ্যাঙারে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ২২ দিন পর সেটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে হ্যাঙারে নিয়ে যাওয়া গিয়েছে। আরও একবার বিমানটিকে পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হবে, সেটিকে মেরামত করা সম্ভব কিনা। সেটা না হলে ওই বিমানটিকে এয়ারলিফট করেই নিয়ে যাওয়া হবে ইংল্যান্ডে।
শোনা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত বিমানটিকে নিতান্তই এয়ারলিফট করা হলে ব্রিটেনের মিলিটারি কার্গো এয়ারক্র্যাফট সি-১৭ গ্লোবমাস্টারের মাধ্যমে করা হবে। সেজন্য ওই ‘এফ-৩৫বি’ যুদ্ধবিমানটিকে কয়েকটি টুকরে ভাগ করে নিতে হবে। সেই কাজটিও করবেন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ররাই। সেজন্যই বিমানটিকে হ্যাঙারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে একবার ফ্লোরিডা থেকে এয়ারলিফট করে ফেরানো হয়েছিল F-35 লাইটনিং ২ বিমানকে।
