সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সোনালি বিবির স্বামী-সহ বাংলাদেশে আটকে এখনও ৪ জনের নথি জমার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। তা পাঠানো হবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে। সর্বোচ্চ আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বিষয়টিকে মানবিকতার দিক থেকে দেখতে বলেছে। চারজনের মধ্যে কাউকে ফিরিয়ে আনা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জানুয়ারি।
সোনালি খাতুন মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাটি ওঠার পর প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত জানতে চান, সোনালিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে কিনা। তাঁদের আর্থিক ও মেডিক্যাল সহযোগিতা করা হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়ে খোঁজ নেন বিচারপতিরা। তারপরই সোনালি বাবা ভুদু শেখ ও আমির শেখের আইনজীবী বাংলাদেশে আটকে থাকা সোনালির স্বামী ও সুইটি বিবি পরিবারকে ফিরিয়ে আনার কথা বলেন। সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশে আটকে থাকা সুইটি বিবি ও বাকি চারজনের নথি জমা দিতে বলেছে। সেইগুলি পাঠানো হবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে। ভুদু শেখদের আইনজীবীর তরফে আদালতে বলা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তপার ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সুরক্ষিত নয়। দ্রুত মামলার শুনানির আবেদন জানান তিনি। আগামী ৬ জানুয়ারি শুনানির দিন ঠিক করেছেন বিচারপতিরা।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানায়, রাজ্যের কাছে প্রত্যেকের ভেরিফিকেশনের নথি রয়েছে। সেই সময় সলিসিটর জেনারেল তীর্যক মন্তব্য করেন তা শুনে সিব্বল বলেন, "সোনালি, সুইটিদের বাংলাদেশে পাঠানোর আগে আপনাদের ভেরিফিকেশন করা উচিত ছিল। ৩০ দিন কোনও ভেরিফিকেশন করেননি।" এদিন আদালতে সোনালি বিবির ইন্টারভিউ একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি তোলেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, "একটা মামলা নিয়ে নামজাদা সংবাদমাধ্যমে ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।" আদালত জানায়, কোনও ন্যারেটিভই তাঁদের প্রভাবিত করতে পারে না। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ সাবজুডিস বিষয়ে রিপোর্টিং করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমদের সচেতন হওয়ার কথাও এদিন বলে আদালত।
