সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যৌনগন্ধী কন্টেন্ট নিয়ে কেন্দ্রের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সাম্প্রতিক অতীতে যেভাবে প্রশাসনের কাজে 'নাক গলানো'র অভিযোগ উঠছে আদালতের বিরুদ্ধে, সেকথা মনে করিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ভোলেনি শীর্ষ আদালত। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যৌনতার অতিরিক্ত ব্যবহার এবং নজরদারির অভাবে অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ছে দর্শকরা, এই মর্মে পিটিশন দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই শুনানি চলাকালীনই কেন্দ্রকে বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
রণবীর এলাহাবাদিয়ার কুরুচিকর যৌনগন্ধী মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইউটিউবে কত পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট রয়েছে সেই নিয়ে কেন্দ্রের জবাব তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য নির্দেশিকা জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়, ভারতীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিধি, ২০২১-এর অধীনে নির্ধারিত নীতিশাস্ত্রের নিয়ম কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিজকে। তা সত্ত্বেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বল্গাহীনভাবে যৌনগন্ধী কন্টেন্ট দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পাঁচ অভিযোগকারী। তাঁদের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চে শুনানি শুরু হয় এই মামলাটি। শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি গভাই বলেন, "এখনও পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে আদালত নাকি শাসন এবং আইন বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে। তবে এই ইস্যুতে কেন্দ্রের কিছু পদক্ষেপ করা উচিত।" কেন্দ্রের সলিসিটর তুষার মেহতা বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশিকা রয়েছে। আরও নির্দেশিকা চাপানো নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল আইনসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে ঐতিহাসিক মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনসভা থেকে পাশ হয়ে আসা বিল অনন্তকাল আটকে রাখতে পারেন না রাষ্ট্রপতি। তিনমাসের মধ্যে তাঁকে মতামত জানিয়ে দিতে হবে। রাজ্যপালদের জন্যও ওই একই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারপরেই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং একাধিক বিজেপি নেতা তোপ দাগেন সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়ে। তাঁদের মতে, বিচারবিভাগ অতি আগ্রাসী হয়ে উঠছে। সেই নিয়ে আগেও কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবারও সেই কথা মনে করিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
