সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য স্বাধীন হয়েছে দেশ। আর তারমধ্যেই ঘটে গেল বিপর্যয়। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি, দিল্লির বিড়লা হাউসে ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে খুন করলেন নাথুরাম গডসে। কিন্তু সেটাই প্রথম নয়, মহাত্মা গান্ধীর ওপর মোট ছয়বার হামলা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বর-পঞ্চগনিতে একবার গান্ধীজির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন নাথুরাম গডসে। সেবার কংগ্রেসের শাখা সংগঠন রাষ্ট্রীয় সেবাদলের তরুণ নেতা ভিকু দাজে ভিলারের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে প্রাণে বেঁচে যান মহাত্মা। বুধবার মহারাষ্ট্রে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভিকু দাজে ভিলার। তাঁর মৃত্যুতে টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী।
[জানেন, সিগারেটের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে কীভাবে লড়ছেন এই ব্যক্তি?]
প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কংগ্রেস বিধায়করা। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রত্নাকর মহাজন বলেন, স্বাধীনতার পর মহাবালেশ্বর থেকে দুবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন ভিকু দাজে ভিলার। সারা জীবন ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। তবে গত কয়েক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে খুব একটা বাড়ির বাইরে বেরতেন না। টুইটারে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘একজন কট্টর গান্ধীবাদী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী ভিলার গুরুজি ছিলেন ভারতীয় মূল্যবোধের রক্ষাকর্তা। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।’
তবে ১৯৪৪ সালের একটি ঘটনাই বোধহয় ইতিহাসে অমর করে রাখবে ভিকু দাজে ভিলারকে। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রত্মাকর মহাজন জানিয়েছেন, প্রতি বছর গ্রীষ্মে মহাবালেশ্বর-পঞ্চগনিতে আসতেন গান্ধীজি। ১৯৪৪ সালে জুলাই মাসে জেল থেকে ছাড়ার পরও পঞ্চগনিতে এসেছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি স্কুলে প্রার্থনাসভা চলাকালীন একটি ছুরি নিয়ে তাঁকে মারতে যান নাথুরাম গডসে। তাঁকে আটকান ভিকু দাজে ভিলার। অল্প ধস্তাধস্তির পর নাথুরাম গডসের হাত থেকে ছুরিটি কেড়ে নেন তিনি। প্রাণে বেঁচে যান মহাত্মা।
[মালিকের কাছে উপরি পাওনা না পেয়ে ওলা চালক কী করল যাত্রীর সঙ্গে?]
The post গান্ধীজির ‘রক্ষাকর্তা’ ভিকু দাজে ভিলার প্রয়াত appeared first on Sangbad Pratidin.
