সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজাপুরে মাওবাদীদের মারণ হামলার এবার পালটা জবাব নিরাপত্তাবাহিনীর। রবিবার মাও-বিরোধী অভিযানে খতম হল ৩ মাওবাদী। বিজাপুরের ইন্দ্রাবতী ন্যাশনাল পার্কে অভিযান চালায় ডিআরজি, এসটিএফ ও ডিসট্রিক্ট ফোর্সের যৌথ বাহিনী। দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ মাওবাদীর। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি, এই বিজাপুরের কুটরু রোডে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর মারণ হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। অভিযান চালিয়ে ফেরার সময় মাওবাদীদের রাস্তায় পুঁতে রাখা আইইডিতে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। ভয়ংকর সেই হামলায় ৮ জওয়ান-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে টুকরো টুকরো হয়ে যায় জওয়ানদের শরীর। তদন্তে জানা যায় তিন বছর আগে ওই রাস্তায় আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল তাতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভয়াবহ এই হামলার পর আরও সতর্ক হয়ে যায় নিরাপত্তাবাহিনী। মাওবাদীদের খোঁজে শুরু হয় অভিযান।
রবিবার বিজাপুরের ইন্দ্রাবতী ন্যাশনাল পার্কে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এবং পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাবও আসে। দীর্ঘক্ষণ দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর ৩ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও ওই এলাকা ঘিরে ফেলে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। মৃত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিশেষ পোশাক, রাইফেল, পিস্তল-সহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার দাবি করেছেন, মাওবাদী দমনে সাফল্য এসেছে। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী শূন্য হবে দেশ। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত বছর নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ২১৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। আর চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হল। যদিও বার বার নকশালপন্থীদের পালটা মারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
