shono
Advertisement

মধ্যপ্রদেশে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মৃত্যু হয়ে পূর্ণ বয়স্ক বাঘের, হায়নার মৃত্যু নিয়েও জলঘোলা

বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা করাছে বনদপ্তর।
Posted: 04:15 PM Jan 05, 2023Updated: 04:15 PM Jan 05, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বহু সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে রয়েছে মানুষের বসতি। এমনকী জঙ্গলের ভেতরেও রয়েছে গ্রাম। ফলে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ ও সহাবস্থান দুই সত্য। তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ দেখা গেল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) পান্না ব্যাঘ্র উদ্যানে (Panna Tiger Reserve)। নতুন বছরের শুরুতে সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে মৃত্যু হয়েছে একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ ও একটি হায়নার। দিন দুই আগে ওই দু’টি বন্যপ্রাণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা বুনো শুয়োরের থেকে ফসল বাঁচাতে বিদ্যুতের ঘেরাটোপ তৈরি করেছিল। কিন্তু বুনো শুয়োরের বদলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাঘ ও হায়নার। এই ঘটনায় নড়চেড়ে বসেছে বনদপ্তর।

Advertisement

বুধবার মধ্যপ্রদেশ বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ৩ জানুয়ারি রাতে পান্না ব্যাঘ্র উদ্যানের কিশানগড় এলাকায় ওই বাঘ ও হায়নার দেহ শনাক্ত হয়েছে। আধিকারিকদের অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে প্রাণী দু’টির। জঙ্গলের পাশের গ্রামে মানুষ চাষবাস করেন। বুনো শুয়োর সেই ফসল নষ্ট করে। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই বিদ্যুতের তারের ঘেরাটোপ ছিল অরণ্য সংলগ্ন খেতে। তাতেই শক লেগে মৃত্যু হয়েছে বাঘ ও হায়নার। পরে হায়না ও বাঘের দেহ উদ্ধার করে বনদপ্তর। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: অসন্তুষ্ট রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়, চিন্তার ভাঁজ বিজেপির কপালে]

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতি, বাঘের মতো বন্যপ্রাণীদের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়মিত সচেতনতা শিবির করে থাকে বনদপ্তর। তারপরেও এমন ঘটনার খবর মাঝেমাঝেই পাওয়া যায়। এরাজ্যে বিদ্যুতের তারে শক লেগে হাতির মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। এই অবস্থা ঠেকাতে, শিকার উৎসবের নামে বন্য প্রাণী হত্যা বন্ধে, জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা রুখতে এবার গ্রামস্তরে সচেতনতামূলক প্রচারকেই হাতিয়ার করছে বনদপ্তর।

[আরও পড়ুন: শান্তি ফিরেছে ভূস্বর্গে, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে নয়া রিপোর্টে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের]

সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, সভাধিপতি তথা বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, বনদপ্তরের কেন্দ্রীয় চক্রের মুখ্য বনপাল কুলান ডাইভেল, পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement