নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনি। এক টুকরো বাঙালি পাড়া। আপাতত অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন এখানকার বাংলাভাষীরা। ক্রমাগত উচ্ছেদের হুমকি, জল-বিদ্যুৎ বন্ধ। সমস্যায় জর্জরিত বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ওই এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন।
দিন তিনেক আগে জয় হিন্দ কলোনির বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ওই এলাকায় বসবাসকারী একাধিক বাঙালির জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সমস্যায় জর্জরিত বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে জলের ট্যাঙ্কারের বন্দোবস্ত করেছিলেন। তবে পুলিশ এবং আরপিএফ বিকল্প পথে জলের বন্দোবস্ত করতে দেয়নি বলেও অভিযোগ। বিজেপি শাসিত দিল্লিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাঙালিদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার সকালে মমতার নির্দেশেই তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি এলাকায় যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার উপ দলনেত্রী সাগরিকা ঘোষ, সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও সাকেত গোখলে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। প্রয়োজনে আইনি সহায়তার আশ্বাসও দেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য সুখেন্দু শেখর রায়ের অভিযোগ, "দিল্লিতে এমন বহু বসতি রয়েছে। সেগুলিতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। অথচ শুধুমাত্র বাংলাভাষী বলেই জয়হিন্দ কলোনির বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে।" সুখেন্দুর বক্তব্য, "বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের এভাবেই নিশানা করা হচ্ছে। রীতিমতো অরাজকতা চালানো হচ্ছে। এখানেও শুধু বাংলাভাষী বলেই কোচবিহার এবং বাংলার অন্য প্রান্তের বাসিন্দারা টার্গেট।" তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জানিয়েছেন, এই বাসিন্দারা যে জমিতে রয়েছেন, সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এখনও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি আদালত। তা সত্ত্বেও কেন এখানকার বিদ্যুৎ ও জল বন্ধ হল, প্রশ্ন তুলছেন সুখেন্দু। তিনি জানিয়েছেন, এখানকার বাসিন্দারা আইনি লড়াই লড়ছেন। সেই লড়াইয়ে প্রয়োজনে সাহায্য করতে পারে তৃণমূল।
