shono
Advertisement

‘ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা কাশ্মীর ছাড়ো’, ১১ জনের খুনের দায়স্বীকার করে হুমকি জঙ্গিদের

রবিবারের ঘটনায় বিবৃতি জারি করেছে লস্করের সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট।
Posted: 10:27 AM Oct 18, 2021Updated: 10:27 AM Oct 18, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। একদিকে পাক জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। অন্যদিকে, একের পর এক ভিনরাজ্যের শ্রমিককে খুন করছে জঙ্গিরা। রবিবারও কুলগামে (Kulgam) বিহারের (Bihar) দুই শ্রমিককে খুন করে জঙ্গিরা। গুরুতর আহত হন আরও একজন। সবমিলিয়ে ১১ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকায়। আর এই ঘটনায় পুরোপুরি দায়স্বীকার করল লস্কর-ই-তৈবার নয়া সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট জম্মু এবং কাশ্মীর বা ULF।

Advertisement

ইতিমধ্যে হামলার দায়স্বীকার করে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে ইউএলএফ। তাতে তারা জানিয়েছে, গোটা দেশে মুসলিমদের হত্যার প্রতিবাদেই নাকি তাদের এই হত্যালীলা। এরপরই কার্যত হুমকি দিয়ে বলেছে, অবিলম্বে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের কাশ্মীর ছাড়তে হবে। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিনে ১১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর দায়ভারও স্বীকার করে নিয়েছে লস্করের অন্যতম এই সংগঠনটি। এদিকে, রবিবারের হামলার পরই বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাতে বলা হয়েছে, তাতে উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শ্রমিকদের একত্রিত করে সেনা, সিএপিএফ কিংবা পুলিশ স্টেশনের কাছাকাছি কোনও স্থানে রাখতে জরুরিভিত্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

[আরও পড়ুন: জ্বর সারাতে একরত্তির শরীরে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা তান্ত্রিকের! রাজস্থানে গুরুতর আহত ৭ মাসের শিশু]

এদিকে, সাধারণ নাগরিক নয়, গত কয়েকদিনে কাশ্মীরের পুঞ্চের বিভিন্ন জায়গায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষও শুরু হয়েছে। যা কিনা মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ের ভয়ঙ্করতম এনকাউন্টার। এখনও পর্যন্ত একাধিক জায়গায় জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। মৃত জঙ্গিদের দেহ পাওয়া না গেলেও দুই জুনিয়র কমিশনড অফিসার-সহ মোট নয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আর এই ঘটনাতেই পাকিস্তানের কম্যান্ডো বাহিনীর জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে সেনার তরফ থেকে।

গত এক সপ্তাহের সময় থেকে যেভাবে সেনার উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা, তাতে মনে করা হচ্ছে, জঙ্গিদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আর সেই মদত জুগিয়েছে পাকিস্তানের কমান্ডো বাহিনী। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের মতে, ঘন জঙ্গলের মধ্যে ৮-৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেনাবাহিনীর উপর অতর্কিতে হামলা চালানো এবং তারপর পালিয়ে যাওয়ার জন্য খুব ভাল রকমের সেনা প্রশিক্ষণই প্রয়োজন। আর তাই জঙ্গিদের সঙ্গে পাক কমান্ডো বাহিনীর যুক্ত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: কোভিড মোকাবিলায় ভারতে বুস্টার ডোজ চালুর সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, দোটানায় কেন্দ্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement