সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবে কি যুদ্ধ আসন্ন? সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় এমন প্রশ্নই মাথাচাড়া দিচ্ছে। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বেশ কয়েকটি রাজ্যকে আগামী ৭ মে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মহড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করতে হবে, সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাছাড়া যুদ্ধের সময় পড়ুয়ারা কী ভূমিকা পালন করবে সেই প্রশিক্ষণও দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যগুলির সিভিল ডিফেন্সকেও উদ্ধারকাজ সংক্রান্ত মহড়া করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিমান হামলার সতর্কতায় সাইরেন বাজলে কী করতে হবে, হঠাৎ যদি ব্ল্যাক আউট হয়, কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে, কী করণীয়, এসব বিষয়ের মহড়া হবে।
যদিও ২০১৯ সালে উরি হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের সময়ও এমন নির্দেশ জারি করা হয়নি। একমাত্র ১৯৭১ সালে যখন পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে ভারত যুদ্ধে গিয়েছিল সেই সময় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার ২০২৫ সালে এমন নির্দেশিকা জারি হল। তাহলে কি এবার সরাসরি যুদ্ধের পথেই হাঁটতে চলেছে ভারত।
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তেও বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। নয়াদিল্লিতে একের পর এক হাই ভোল্টেজ মিটিং করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবারই সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিতে মোদিকে ফোন করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশে যুদ্ধের জল্পনা আরও জোরালো হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে যুদ্ধ আবহেই পাঞ্জাব সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার অভিযোগে এক পাক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ। ধৃতের কাছ থেকে পাক নাগরিকের পরিচয়পত্র, ৪০ পাকিস্তানি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি কী কারণে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কেন সে ভারতে প্রবেশ করছিল সে বিষয়ে জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর আগেও রাজস্থান থেকে দুই পাক গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
