সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার শুল্কনীতি যে সে দেশের শেয়ার বাজারে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে সে আশঙ্কা ছিলই। এই আশঙ্কাকে সত্যি করে মঙ্গলবার কার্যত ধসে গেল 'ডো জনস' (Dow Jones) ও নাসদাক (Nasdaq)। সর্বকালীন পতনের জেরে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে গেল বিনিয়োগকারীদের। এর বিরাট প্রভাব প্রড়েছে ভারতের বাজারেও। বাজার খোলার পর থেকেই নিম্নগামী শেয়ার বাজারের সূচক।
জানা গিয়েছে, 'ডো জনস'-এর সূচক পড়েছে ৮৯০ পয়েন্ট অর্থাৎ ২.১ শতাংশ। প্রায় ৪ শতাংশ পড়েছে নাসদাক। মার্কিন শেয়ার বাজারের অন্যতম শক্তি হল টেক সংস্থাগুলি। সেখানেও ভয়ংকর রক্তক্ষরণ দেখা গিয়েছে। টেসলার শেয়ার পড়েছে ১৫.৪ শতাংশ। এআই চিপ জায়ান্ট এনভিডিয়া ৫ শতাংশেরও বেশি কমেছে। অ্যামাজন, অ্যালফাবেট, মেটা-সহ অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও হাল বেহাল। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, মেক্সিকো, কানাডা ও চিনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি ও শুল্কযুদ্ধের জেরেই গুরুতর অবস্থা মার্কিন বাজারের। এই ঘটনায় আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কাও এড়িয়ে যাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন বাজারের সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারেও।
এদিন বাজার খোলার পর প্রায় ৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। পাল্লা দিয়ে নামে প্রায় ১০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় নিফটিও। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খায় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। নিফটি আইটি ইনডেক্স ৫৫৩.২৫ পয়েন্ট পড়ে। শতাংশের হিসেবে যা ১.৪৭ শতাংশ। ইনফোসিস, উইপ্রো, এল এন্ড টি, এইচসিএল। টিসিএসের মতো বহুল জনপ্রিয় শেয়ারগুলি প্রায় ৫ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে যায়। এছাড়া ইনডাসিন্ড ব্যাঙ্কের শেয়ার পড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি। জোম্যাটো, বাজাজ ফিনান্সের মতো শেয়ারগুলিতেও বড়সড় ধাক্কা দেখা গিয়েছে।
