সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঠুয়া ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাঞ্জিরামের পাশাপাশি দীপক খাজুরিয়া ও পরবেশ কুমারকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল। আর এস আই আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ ও বিশেষ পুলিশ আধিকারিক সুরেন্দ্র ভার্মাকে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।কাঠুয়া ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয় ছ’জন। সোমবার সকালে তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন পাঠানকোট আদালতের বিচারক। তবে সাঞ্জিরামের ছেলে বিশাল নির্দোষ হওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ দাখিল করায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন- গরু পাচারকারী সন্দেহে উলঙ্গ করে গণপিটুনি, মূত্রপান করানোর অভিযোগ]
সোমবার সকালে পাঠানকোটের বিশেষ আদালতে শুরু হয় কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলার রায়দান। এর জেরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল পাঠানকোটে। চারিদিকে ছিল চাপা উত্তেজনা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল এক হাজার পুলিশকর্মী। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বম্ব স্কোয়্যাডকেও।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের জানুয়ারি মাসে। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়াতে ৮ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। তারপর সাতদিন ধরে মাদক খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। পরে খুন করে একটি জঙ্গলে ফেলে আসা হয়। ১৭ তারিখ সেখান থেকে উদ্ধার হয় তার পচাগলা দেহ। বিষয়টি কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিভিন্ন জায়গায়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নাবালক-সহ আটজনকে গ্রেপ্তার পুলিশ। গত বছরের ৩০ মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৫ পাতার চার্জশিটও পেশ করা হয়। ১৭ মাস ধরে মামলা চলার পর গত ৩ জুন এই মামলার অন ক্যামেরা শুনানি শেষ হয়। এরপরই পাঠানকোটের জেলা দায়রা আদালতের বিচারক তেজেন্দ্র সিং ১০ জুন রায়দানের দিন ধার্য করেন।
[আরও পড়ুন: গরু পাচারকারী সন্দেহে উলঙ্গ করে গণপিটুনি, মূত্রপান করানোর অভিযোগ]
এই মামলায় অভিযুক্ত ছিল মোট ৮ জন। এরা হল, প্রাক্তন রেভিনিউ আধিকারিক সনজি রাম, বিশেষ পুলিশ আধিকারিক দীপক খাজুরিয়া এবং সুরিন্দর কুমার, পরবেশ কুমার, সনজি রামের ছেলে বিশাল জনগোত্র এবং একজন নাবালক। তার বিচার হচ্ছে আলাদাভাবে। এছাড়া দু’জন তদন্তকারী অফিসার হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবং সাব ইনস্পেক্টর আনন্দ দত্ত এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিল।
The post কাঠুয়া ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী ছয়, ২৫ বছর জেল তিনজনের appeared first on Sangbad Pratidin.