সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের অহেতুক দেরি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্য। আদালতের নির্দেশ ছিল দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে, তবু কেন উপাচার্য বাছাই করতে বার বার সময় চাওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে আচার্যের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমণি জানান, ইতিমধ্যেই ছটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নাম বাছাই করে করে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছেন আচার্য। মঙ্গলবারের মধ্যে আরও পাঁচটিতে নিয়োগ হয়ে যাবে। বাকিগুলির জন্য তিন সপ্তাহ সময় চাওয়া হলেই প্রক্রিয়ায় দেরী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য।
সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চে হল সুপ্রিম কোর্টের উপাচার্য মামলার শুনানি। আচার্যের তরফে এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল শীর্ষ আদালতে ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকা তুলে দেন। আগের ৬টি ও নতুন করে আরও ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আচার্যের অনুমোদিত তালিকা আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। বাকি উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে আরও তিন সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ সেই আরজি মঞ্জুর করেছে।
আগামী ৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। শুনানি চলাকালীন দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। আদালতকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এর আগেও ২ সপ্তাহের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছিল। কেন বার বার বিলম্বিত হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সেই প্রশ্নও তোলেন সিংভি। অন্য এক আইনজীবী আবার উপাচার্য বাছাই কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে আদালত ওই আইনজীবীর বক্তব্যে কর্ণপাত করেনি। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আপাতত আমরা বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে কিছুই করছি না। আমরা জানি, কমিটির চেয়ারম্যান ঈশ্বরকে করলেও অনেকের আপত্তি থাকবে।’