সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাক দ্বিচারিতা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ৭টি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল তৈরি করেছে কেন্দ্র। বিশ্বের মোট ৩৩টি দেশে যাবে এই প্রতিনিধিদলগুলি। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও কয়েকটি দল যাবে। বিভিন্ন দলের মোট ৫১ জন নেতা এই প্রতিনিধিদলগুলিতে আছেন।
কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এই ৩৩টি দেশ বাছল নয়াদিল্লি, কোন কোন দেশে প্রতিনিধিরা যাবেন? সেটা কীসের ভিত্তিতে ঠিক করল বিদেশমন্ত্রক? প্রথমে মনে করা হচ্ছিল শুধু 'বন্ধু' দেশগুলিতেও সর্বদলীয় ওই প্রতিনিধি দলগুলি পাঠানো হবে, যাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের আওয়াজ জোরালো করতে ওই বন্ধুরাও ভারতের পাশে দাঁড়ায়। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় মোট ৩৩টি দেশে ভারতীয় সাংসদরা যাবেন। এর মধ্যে অনেক দেশ হয়তো সরাসরি ভারতের 'মিত্র' নয়।
কীসের ভিত্তিতে বাছা হয়েছে এই দেশগুলিকে? বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্বের ভিত্তিতেই এই দেশগুলিকে বেছেছে নয়াদিল্লি। প্রথমত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশকে বাছা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী ১০ সদস্য দেশেও প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে। এর বাইরে প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে আগামী দিনে যে পাঁচটি দেশ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ পাবে সেই দেশগুলিতেও। এর বাইরে সেই সব দেশকে বাছা হয়েছে, সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ কোনও ইস্যুতে যে সব দেশের কথা বিশ্বমঞ্চে গুরুত্ব পায়, সেই সব দেশে ওই প্রতিনিধিদের পাঠানো হচ্ছে।
আসলে পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তান কীভাবে প্রত্যক্ষে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে, সেটা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায় ভারত। আগামী দিনে পাকিস্তানের উপর নিষেধাজ্ঞা-সহ একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপে বন্ধু প্রয়োজন নয়াদিল্লির। সেজন্যই বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের আসল রূপ তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা।
