সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২০১৫ সাল থেকে কারাবন্দি ছিলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় (Indrani Mukerjea)। অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি। আর আজ, শুক্রবার জেল থেকে বেরিয়েই বলে দিলেন, “যারা আমায় কষ্ট দিয়েছে, তাদের ক্ষমা করে দিলাম।”
গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জামিন দেয় ইন্দ্রাণীকে। সেদিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, ”আমরা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করছি। সাড়ে ৬ বছর অনেক দীর্ঘ সময়।” আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে শুক্রবার জেলের বাইরে এলেন ইন্দ্রাণী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “এতদিন পর খোলা আকাশ দেখতে পেলাম। দারুণ লাগছে। এখন বাড়ি যাচ্ছি। এবার কী করব, আপাতত কোনও পরিকল্পনা করিনি।” এত বছর কারাগারের ওপারে থাকার জন্য কারও দিকে আঙুল তুলতে চান? এ প্রশ্নের উত্তরে একদা মিডিয়া এক্জিকিউটিভ ইন্দ্রাণী বলেন, জেলে অনেক কিছু শিখেছি। কিছু বিষয় ভুলে যাওয়াই ভাল। সহমর্মী হওয়া খুব প্রয়োজন। যারা কষ্ট দিয়েছে, তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: কলকাতায় নতুন ঠিকানা সৌরভের, শহরের বুকে বাড়ির দাম জানলে চমকে যাবেন!]
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ইন্দ্রাণী। প্রথমে পিটারের (Peter Mukerjea) কাছে নাকি নিজের মেয়েকে বোন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে ভিন্ন একটি মামলায় ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের গ্রেপ্তারির পরে। ইন্দ্রাণী ছাড়া শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না এবং চালক শ্যাম রাই। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, শিনা এবং পিটারের আগের পক্ষের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পিটার এবং ইন্দ্রাণী। সে কারণেই শিনাকে খুন করেন ইন্দ্রাণী।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পিটার মুখোপাধ্যায়ও। তবে তিনি ২০২০ সালে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তার আগে ২০১৯ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় পিটার ও ইন্দ্রাণীর। শেষ হয় ১৭ বছরের দাম্পত্যের। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় শিনা বোরা মামলার শুনানি। এযাবৎ প্রায় ৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।