দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মাউসের এক ক্লিকেই গঙ্গা সঙ্গমের পবিত্র জল, পূজার মিষ্টি ও সিঁদুর পৌঁছে যাবে আপনার ঘরে। মাত্র দেড়শো টাকা খরচ করলেই আসন্ন গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলায় না গিয়েও আপনি পুজোর প্রসাদ, সিঁদুর পেয়ে যাবেন। করোনা আবহে ন্যূনতম খরচায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘরে বসেই গঙ্গাসাগর দর্শনে বাড়তি কিছু পরিষেবা দিতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন। বুকিং করার তিনদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে এই পরিষেবা। এই কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে সুন্দরিনি প্রকল্পের কর্মীরা।
গত বছর থেকেই গঙ্গাসাগর মেলায় ই-স্নানের মাধ্যমে ঘরে বসেই গঙ্গাজল পাচ্ছেন ভক্তরা। বহু পুণ্যার্থী বাড়িতে বসে স্রেফ জেলা প্রশাসনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে লগইন করেই পেয়ে গেছেন সাগর সঙ্গমের এই পবিত্র জল। তবে এ বছর, করোনা আবহে নতুন করে যোগ হয়েছে সিঁদুর ও পূজো দেওয়া মিষ্টির প্যাকেট। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আলিপুরে জেলাশাসক পি. উলগানাথন বলেন, ”ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। তিন দিনের মধ্যে যাঁরা বুকিং করছেন, তাঁরা দ্রুত পরিষেবা পেয়ে যাবেন।” গত বছরের তুলনায় এবার এই সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেক কম খরচ করতে হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুদার জন্যই বিষ্ণুপুর থেকে লোকসভায় জিতেছি’, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সৌমিত্র খাঁ’র]
করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির কারণে যাঁরা গঙ্গাসাগর মেলায় আসতে পারবেন না, তাঁরা ঘরে বসে একদিকে যেমন যাবতীয় জিনিস পেয়ে যাবেন, অন্যদিকে তেমনই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে গঙ্গাসাগরের লাইভ ভিডিও প্রতিনিয়ত দেখতে পাবেন। মেলায় থাকবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা। যদি কোনও পুণ্যার্থী মেলায় হাজির হওয়ার পর পরীক্ষার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়, তাহলে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি থেকে শুরু করে চিকিৎসা, সুস্থ করে বাড়ি পাঠানোর সমস্ত ব্যবস্থা করবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে কয়লা মাফিয়া লালা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল সিবিআই আদালত]
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় মেলা করা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে তার মধ্যেও বিশেষ সতর্কতা নিয়ে চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। আয়োজনে প্রশাসন কোনওভাবেই খামতি রাখতে রাজি নয়। ইতিমধ্যেই ড্রোন, সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে। ২৫ টি ড্রোন ও ১০০০ সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে লট নম্বর আট থেকে সাগর মেলা গ্রাউন্ড পর্যন্ত। মেলার ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার। অন্যদিকে, বয়স্ক এবং শিশুদের হাতে গত বছরের মতো একটি কিউআর কোড সম্পন্ন রিস্টব্যান্ড দেওয়া হবে, যা স্ক্যান করে প্রতিটি মানুষকে তাঁর নাম-ঠিকানা নথিভুক্ত করে বাড়ি ফেরানো সম্ভব হবে।