সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সনাতন ধর্মে মঙ্গলবার হল বজরংবলীর বিশেষ দিন। শাস্ত্র মতে, এই দিনে বজরংবলীর পুজো করা শুভ। ভক্তদের বিশ্বাস, কলিযুগে বজরংবলীই একমাত্র জাগ্রত দেবতা। মহাকবি তুলসীদাস শ্রীরামের দর্শন পেতে এবং সংকট থেকে মুক্তি পেতে এই শক্তিশালী চালিসা রচনা করেছিলেন। তবে নিয়ম না মেনে পাঠ করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না।
সঠিক নিয়ম ও পালনীয় বিধি
যাঁরা নতুন পাঠ শুরু করছেন, তাঁরা অবশ্যই মঙ্গলবার দিনটি বেছে নিন। স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে কুশের আসনে বসে পাঠ করা উচিত। পাঠ শুরুর আগে অবশ্যই বিঘ্নহর্তা গণেশ এবং পরে মা সীতা ও শ্রীরামের বন্দনা করতে হবে। বজরংবলীর সামনে ধূপ-প্রদীপ জ্বেলে এবং ফুল দিয়ে সংকল্প নিয়ে পাঠ শুরু করা ভালো। শেষে বজরংবলীকে বোঁদে বা বেসনের লাড্ডু ভোগ হিসেবে নিবেদন করুন।
বর্জনীয় ৫টি ভুল
১) অপরিষ্কার জামাকাপড় বা নোংরা পরিবেশে পাঠ করবেন না। শরীর ও মনের পবিত্রতা এখানে অত্যন্ত জরুরি।
২) প্রতিটি শব্দের সঠিক উচ্চারণ আধ্যাত্মিক শক্তি জাগ্রত করে। যান্ত্রিকভাবে বা তাড়াহুড়ো করে পাঠ করা অনুচিত।
৩) পাঠ করার সময় কারো সাথে কথা বলা বা মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। মনোযোগ বিচ্যুত হলে প্রার্থনার শক্তি কমে যায়।
৪) কেবল নিয়ম রক্ষায় নয়, হৃদয়ের গভীর ভক্তি নিয়ে পাঠ করুন। বজরংবলীর বীরত্বের কথা মনে মনে ধ্যান করতে হবে।
৫) চালিসার শেষে ‘তুলসীদাস’ নামটি শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করুন। কারণ তিনিই এই অমর স্তোত্রের রচয়িতা।
পাঠের সুফল
সঠিকভাবে হনুমান চালিসা পাঠ করলে অর্থকষ্ট দূর হয় এবং মনের ভয় কেটে সাহস বাড়ে। ছাত্রদের জন্য এটি বুদ্ধি ও একাগ্রতা বৃদ্ধির মহৌষধ। সর্বোপরি, এটি মোক্ষ লাভের এক সহজ পথ হিসেবে পরিচিত।
