shono
Advertisement
Virat Kohli

বিরাটকে আউট করে রাতারাতি তারকা, কতখানি বদলেছে হিমাংশু সাঙ্গওয়ানের জীবন?

একটা সময়ে ধোনির মতোই টিকিট পরীক্ষক ছিলেন হিমাংশু।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 07:17 PM Feb 02, 2025Updated: 07:28 PM Feb 02, 2025

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: একটা ডেলিভারিতেই রাতারাতি তারকা হয়ে গিয়েছেন। রেলওয়েজের অখ্যাত বোলার হিমাংশু সাঙ্গওয়ানের নাম আজ ক্রিকেটপ্রেমীদের চর্চায়। বিরাট কোহলির উইকেট নেওয়ার পর কতখানি বদলে গেল জীবন? ক্রিকেটার হিসাবে পরিচিতি পেতে ২৯ বছর সময়ই বা লাগল কেন?

Advertisement

১২ বছর পর রনজি খেলতে নেমে মাত্র ৬ রানে আউট হয়েছিলেন বিরাট। কারণ আগুনে গতিতে ছুটে আসা হিমাংশুর ডেলিভারিতে উপড়ে গিয়েছিল তাঁর অফস্টাম্প। বিরাটের বিরুদ্ধে এমন দারুণ সাফল্য পেয়ে হিমাংশু বলছেন, "সেদিন অদ্ভুত একটা পরিবেশে খেলতে নেমেছিলাম। রনজিতে এত দর্শক তো হয় না। আর মাঠে থাকা প্রত্যেকেই বিরাটের নাম ধরে চিৎকার করছিল। ও যখন ব্যাট করতে এল, আর কিছু শুনতেই পাচ্ছিলাম না।"

তাঁর একটা ডেলিভারি সটান বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কিং কোহলি। তার পরের বলেই কী করে উইকেট এল? রেলওয়েজের পেসারের মত, "ফাস্ট বোলারসুলভ আগ্রাসন তো থাকেই। বাউন্ডারির পর একটু বেশি করে নিজের বেসিকটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম।" ওই একটা ডেলিভারির পরেই গোটা দেশের মুখে মুখে ঘুরছে তাঁর নাম। হিমাংশু নিজেই জানালেন, অন্তত ৩০০টা মিস কল এসেছে তাঁর ফোনে। মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন সকলেই ফোন করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কথা বলেছেন স্বয়ং বিরাটও। তবে হিমাংশু বরাবরই ছোট ছোট ব্যাপারেই খুশি থাকতে পছন্দ করেন। মা-বাবাকে গর্বিত করেছে বিরাটের উইকেট, তাতেই খুশি রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠা নজফগড়ের তরুণ। বিরাট ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। তাঁর উইকেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত রেলওয়েজের পেসার। 

মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে মিল রয়েছে তাঁর। একটা সময়ে নয়াদিল্লি স্টেশনে ধোনির মতোই টিকিট পরীক্ষক ছিলেন হিমাংশু। ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরুতে দিল্লি অনূর্ধ্ব ১৯ দলে তিনি ছিলেন ঋষভ পন্থের সতীর্থ। কিন্তু দিল্লির সিনিয়র দলে জায়গা হয়নি। বাধ্য হয়ে হরিয়ানায়। সেখানেও সুযোগ পেলেন না। তার মধ্যেই রেলের চাকরির প্রস্তাব। চাকরি করতে করতেই রেলের হয়ে ক্রিকেট চালিয়ে যান হিমাংশু। তবে জানালেন, ধোনির সময়ের তুলনায় বর্তমান রেলের অনেক তফাত। অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সময় মেলে। তাই চাকরির জন্য ক্রিকেটে কোনও অসুবিধা হয় না। হিমাংশুর মতে, "ঈশ্বর আমাকে সবসময়ে কিছু না কিছু দিয়েছেন। ভালো-খারাপ দুরকম সময়ই দেখেছি। তবে আমি ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়েই খুশি থাকতে ভালোবাসি।" বিরাটের উইকেট পাওয়ার পর বল করার সময়ে চাপ অনুভব করবেন না বলেই মনে করছেন হিমাংশু। আপাতত তিনি বদলে যাওয়া জীবনটা উপভোগ করছেন।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ১২ বছর পর রনজি খেলতে নেমে মাত্র ৬ রানে আউট হয়েছিলেন বিরাট।
  • হিমাংশু বরাবরই ছোট ছোট ব্যাপারেই খুশি থাকতে পছন্দ করেন।
  • ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরুতে দিল্লি অনূর্ধ্ব ১৯ দলে তিনি ছিলেন ঋষভ পন্থের সতীর্থ।
Advertisement