রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৭৭/৯ (শিবম দুবে ৪৬, তেওটিয়া ৪০, সিরাজ ৩/২৭ )
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৬.৩ ওভারে ১৮১/০ (দেবদূত ১০১*, বিরাট ৭২*)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দশ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারে চার। হ্যাঁ, করোনা আবহেই (Corona Pandemic) দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এবারের আইপিএলের প্রথম চারটি ম্যাচেই জয়লাভ করল বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) দেওয়া ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনারই ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন আরসিবিকে। কোহলি করলেন অপরাজিত ৭২ রান। আর ম্যাচের ‘হিরো’ দেবদূত পাড়িক্কল করলেন অপরাজিত ১০১ রান। তাও মাত্র ৫২ বলে। এটাই আইপিএলে বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের প্রথম শতরান। আর এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দশ উইকটে ম্যাচ জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore)। ২১ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য ১৭৯ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেলেন বিরাটরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যদিও এই সময় কিছুটা ভুল বোঝাবুঝিরও শিকার হন তিনি। প্রথমে বুঝতেই পারেননি যে তিনি টসে জিতেছেন। পরে যখন ভুলটি বুঝতে পারেন, নিজেই হেসে বলে ফেলেন, আসলে আমি তো টসই জিতি না। আর এই মুহূর্তের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরালও হয়ে যায়। এদিকে, বিরাটের প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তকে সত্যি প্রমাণ করে দেন আরসিবির বোলাররা। মাত্র ৪৩ রানেই রাজস্থানের টপ অর্ডারের চারজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যান। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন বাটলার (৮), মনন ভোরা (৭), ডেভিড মিলার (০)। অধিনায়ক স্যামসন (১৮) ভাল শুরু করেও দ্রুত আউট হয়ে যান। তবে এরপর শিবম দুবে (৪৬) এবং রিয়ান (২৫) দলের হাল ধরেন। দুজনে মিলে রাজস্থানের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। আর শেষদিকে রাহুল তেওটিয়ার ঝোড়ো ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংসই বলতে গেলে রাজস্থানের মান বাঁচায়। এই তিনজনের ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৭ রান তোলেন স্যামসনরা। আরসিবির বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ এবং হর্ষল প্যাটেল।
[আরও পড়ুন: গোদের উপর বিষফোঁড়া, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হারের পর এবার জরিমানাও দিতে হবে নাইট অধিনায়ককে]
স্কোরবোর্ডে লক্ষ্যমাত্রা ১৭৮ রান। টি-টোয়েন্টির যুদ্ধে যা যথেষ্ট সম্মানজনক রান। কিন্তু এদিন একেবারে অন্য মেজাজেই ব্যাট করতে নেমেছিলেন আরসিবির অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং আরেক ওপেনার দেবদূত পাড়িক্কল। বিরাটের থেকেও বেশি মারমুখী মেজাজে ছিলেন দেবদূত। শেষপর্যন্ত এই দুজনের সৌজন্যে কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় আরসিবি। তাও আবার ২১ বল বাকি থাকতেই। বিরাটের সংগ্রহ ৪৭ বলে ৭২ রান। আর পাড়িক্কল করলেন অসাধারণ শতরান। ৫২ বলে ১০১ রান করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। মারেন ১১টি চার ও ৬টি ছয়। অন্যদিকে, রাজস্থানের কোনও বোলারই বলতে গেলে নজর কাড়তে ব্যর্থ হন। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের চারটি ম্যাচেই জয় পেল আরসিবি। সেই সঙ্গে চেন্নাইকে টপকে ফের লিগ টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেল বিরাটবাহিনী।