কেকেআর: ১৭৯-৭ (গুরবাজ ৮১, রাসেল ৩৪)
গুজরাট টাইটান্স: ১৮০-৩ (বিজয় শংকর ৫১, গিল ৪৯)
গুজরাট ৭ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাচ মিস করলেই ম্যাচ মিস! ক্রিকেটের পুরনো প্রবাদ আরও একবার সত্যি হল ইডেনে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডেভিড মিলারের ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে নাইটদের হাত থেকে ম্যাচটিই ফেলে এলেন তরুণ তারকা সূয়শ শর্মা। অবশ্য নাইটদের এই হারের জন্য শুধু সুয়শকে একা দায়ী করলে ভীষণ অন্যায় হবে। ঘরের মাঠে এই বিপর্যয়ের জন্য গোটা দলই কমবেশি দায়ী।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে। ব্যাট হাতে নাইটদের শুরুটা খুব খারাপ হয়নি। দলগত ২৩ রানের মাথায় জগদীশন আউট হওয়ার পর ফর্মে থাকা ভেঙ্কটেশ, রানাকে ছেড়ে কী ভেবে শার্দূল ঠাকুরকে (Shardul Thakur) ব্যাট করতে পাঠাল নাইট ম্যানেজমেন্ট সেটা তাঁরাই জানেন। শার্দূল ৪ বলে করলেন শূন্য। আর খেলার গতি বদলে গেল। গুরবাজ একদিকে একার হাতে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে ভেঙ্কি, রানাদের মতো ফর্মে থাকা ব্যাটাররা শুধুই বল নষ্ট করে চলেছেন। ভেঙ্কটেশ ১৪ বলে ১১, রানা ৩ বলে ৪, এমনকী রিঙ্কু সিংও (২০ বলে ১৯) এদিন রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ফলে গুরবাজের দুর্ধর্ষ ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংসের পরও একটা সময় মনে হচ্ছিল নাইটরা হয়তো ১৮০ রানেও পৌঁছাতে পারবে না। সেখান থেকে শেষ দিকে রাসেল ১৯ বলে ৩৫ রান করে খানিক সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন কেকেআরকে।
[আরও পড়ুন: নিতে হবে ২০১৮ সালের ভাড়া, বাস মালিকদের জানিয়ে দিলেন পরিবহণমন্ত্রী]
ইডেনের মাঠে ১৮০ রানের টার্গেট নেহাত সম্মানজনক। এই রান নিয়ে জিততে হলে শুরু থেকেই চাপে রাখতে হত গুজরাট ব্যাটারদের। যেটা হল না। গিল-ঋদ্ধিরা শুরুটা ভাল করলেন। ঋদ্ধি আউট হওয়ার পর হার্দিক এসেও রানের গতি বিশেষ কমতে দিলেন না। আর প্রাক্তন নাইট গিল এদিনও ৪৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে গেলেন। গিল-হার্দিকরা (Hardik Pandya) আউট হওয়ার পর খানিক চাপ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন কেকেআর স্পিনাররা। কিন্তু সেটা সামান্য দু-এক ওভারের জন্য। ১৫ ওভারের পর থেকেই কেকেআর স্পিনাররা মার খাওয়া শুরু করলেন। ঠিক এই সময়ই মিলারের মোক্ষম ক্যাচটি ফেলেন সুয়শ। ওই ক্যাচটি ধরা পড়লে হয়তো খেলার গতি ঘুরতেও পারত। সেটা হল না। ম্যাচ শেষ হয়ে গেল ১৮ ওভারেই। বিজয় শংকর ৫১ এবং মিলার ৩২ রান করলেন।
[আরও পড়ুন: বিছানার হারানো উষ্ণতা ফেরাবে ‘তিন মিনিটের খেলা’, পার্টনারকে খুশি করতে জেনে রাখা জরুরি]
এই বিরাট হারের ফলে কেকেআরের (KKR) প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তাই কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এই মরশুমে প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন না দেখাই ভাল। আপাতত নাইটরা ৯ ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে।