সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) নতুন করে তালিবানের (Taliban) দখলে চলে যাওয়ার পরে ফের সেদেশ জঙ্গিদের স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে এবার ইরাকে (Iraq) হামলা আইসিস (ISIS) জঙ্গিদের। শনিবার গভীর রাতের ওই হামলায় ১৩ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, উত্তর ইরাকে কিরকুকের কাছে একটি চেকপয়েন্টে আচমকা হামলা চালায় জঙ্গিরা। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ওই হামলার বিষয়ে জানিয়েছেন ইরাকের এক বর্ষীয়ান পুলিশ অফিসার।
[আরও পড়ুন: ফের পঞ্জশিরে বেকায়দায় Taliban, মাসুদ বাহিনীর পালটা মারে এক রাতেই খতম ৭০০ জেহাদি]
ইরাকের ওই অঞ্চলে সেনা ও পুলিশের উপরে সম্প্রতি বহু জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই হামলাকে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় জঙ্গি হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানের প্রত্যাবর্তনে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, কেবল তালিবানই নয়, কাবুলে প্রবেশ করেছে ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা, জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা। তাদের কার্যত জামাই আদরে স্বাগত জানিয়েছে তালিবান নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন। ফলে ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করতে চলেছে ইসলামিক স্টেট তথা আইসিস। এমনটাই আশঙ্কা।
গোটা বিশ্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে জানা গিয়েছে, তালিবানের পতাকা হাতে নিয়ে কাবুলের বেশকিছু জায়গায় আসর জমিয়েছে বিদেশি জেহাদিরা। তাদের মধ্যে রয়েছে আইএস, লস্কর, আল কায়দা ও জইশের সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে ইরাকের মতো দেশে আইসিস জঙ্গিদের নতুন করে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।
[আরও পড়ুন: ফের মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা! সৌদি আরবে মিসাইল হামলা চালাল ইয়েমেন]
এদিকে গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে এক শপিং মলে জঙ্গি হামলা ঘটায় এক আইসিস সমর্থক। তার ছুরির আঘাতে আহত হন ৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশের গুলিতে নিকেশ হয় হামলাকারী জঙ্গি। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন জানিয়েছেন, হামলাকারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা ও আইসিস সমর্থক। যদিও তিনি জানান, এই হামলা কোনও সংঘবদ্ধ হামলা নয়। তবুও আইসিসের ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে ওই হামলা হওয়ায় পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।